ফের মৃত্যু আমডাঙ্গায়, শুক্রবার রাতে আমডাঙ্গার বহিচগাছিতে নাজিমুল করিম নামে যুবকের মৃত্যু হয়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি বিজেপি সমর্থক নাজিমুলকে পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূলী দুষ্কৃতিরা। রাজনৈতিক আক্রোশ থেকেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি অর্জুনের। এই মুহুর্তে এলাকা থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে খবর। আজ বিকেল তিনটে থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে অর্জুন সিং নিজে ওই এলাকায় যাবেন এবং নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে নাজিমুলকে খুনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। এদিকে সন্ত্রাস কবলিত ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ার পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ আসছে বিজেপির তিন সদস্যর সংসদীয় প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন ‘পুলিশ কেন নিরীহদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ল’? প্রশ্ন ভাটপাড়ায় নিহতদের পরিবারের
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কার্যত সন্ত্রাসের বধ্যভুমিতে পরিণত হয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগণার আমডাঙ্গা। তবে লোকসভা নির্বাচনের সময়কাল থেকে এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলাজনিত পরিস্থতির অবনতি ঘটে। এরপর এদিনের এই 'খুন' যে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন অগ্নিগর্ভ ভাটপাড়ায় জোড়া মৃতদেহ নিয়ে মিছিলে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ
উল্লেখ্য, বুধবার থেকে অগ্নিগর্ভ উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া-জগদ্দল এলাকা। বুধবার ভাটপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সুরজ মণ্ডল। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই জনপদ। এরপর দিন বৃহস্পতিবার ছিল ভাটপাড়ার নবনির্মিত থানার উদ্বোধন। এই উদ্বোধন ঘিরেই সকাল থেকে অস্থির হয়ে ওঠে ঘোষপাড়া, কাছারিবাজার চত্বর। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। এরপরই রামবাবু সাউ এবং ধরমবীর সাউ নামে দুই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এলাকায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ। বিজেপির দাবি পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে এই দুই ব্যাক্তির। তবে পুলিশ গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুক্রবার বিকেলে এই দুই ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে 'জয় শ্রীরাম' ধবনি দিয়ে মিছিল করে গেরুয়া বাহিনী। এই মিছিলকে ঘিরে ফের পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বাঁধে বিজেপি সমর্থকদের। এই পরিস্থিতিতেই এলাকায় আসছে বিজেপির তিন সদস্যর কেন্দ্রিয় প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি এলাকা পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন কংগ্রেস এবং বামেরা।