West Bengal news today updates: ফের রণক্ষেত্র ভাটপাড়া। বৃহস্পতিবার গুলি-বোমাবাজিতে নিহতদের (ধরমবীর সাউ ও রামবাবু সাউ) মৃতদেহ নিয়ে শুক্রবার মিছিল করে বিজেপি। মিছিল থেকে উঠছে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি। মিছিলের নেতৃত্বে রয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা অর্জুন-পুত্র পবন সিং এবং সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল বিধাক তথা অরজুনের ভগ্নিপতি সুনীল সিং। এই মিছিল ঘিরেই ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ার পথে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। এরপরই কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এলাকায় এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনা। স্থানীয় জনতার একাংশের ক্ষোভ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। অর্জুন সিং বলেন, "পুলিশ গুলি চালিয়ে দু'জনকে মেরেছে, তাই মানুষের মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে আমরা মানুষকে বুঝিয়ে শান্ত কারার চেষ্টা করেছি, এখন মিছিল এগিয়ে যাচ্ছে"।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। গুলি -বোমার লড়াইয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া-জগদ্দল এলাকা। মৃত্যু ঘটে দু'জনের, গুরুতর আহত আরও তিন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই ওই এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা, মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ। তার মাঝেই শুক্রবার সকালে ফের বোমাবাজির ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রশাসন। ভাটপাড়ার এই অশান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামিকাল এসএস আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে ভাটপাড়ায় আসছে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল।
এদিন সকালের নিষ্ক্রিয় বোমায় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দফায় দফায় উত্তেজনা এবং চাঞ্চল্য ছড়ায় ভাটপাড়া অঞ্চলে। বন্ধ থাকে স্কুল, কলেজ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় নিহত দুই ব্যাক্তি বিজেপির সমর্থক বলে দাবি করেন এলাকার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সেই দাবি এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে এদিন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। যে পুলিশরা গুলি চালিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এদিন অর্জুন সিং, তাঁর ভাইপো সৌরভ সিং, শ্যালক সুনীল সিংয়ের নেতৃত্বে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ঘেরাও করে বিজেপি। বিজেপি সূত্রের খবর, ভাটপাড়া পর্যবেক্ষণের পর রিপোর্ট দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। ভাটপাড়ার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শহরের রাস্তায় নামলো বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বুধবার এক যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই দফায় দফায় বোমাবাজিতে অশান্ত হয়ে ওঠে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার ভাটপাড়া। বৃহস্পতিবার সেই অশান্তি তুঙ্গে ওঠে। নতুন থানার উদ্বোধন ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়া, এমনটাই খবর। থানার ২০০ গজের মধ্যে চলে গুলি ও বোমাবাজি। অশান্তিতে ইতিমধ্যে নিহত দুই। দুষ্কৃতিরাজের জন্য ‘খ্যাত’ এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় নামানো হয় র্যাফ। সবিস্তারে পড়ুন, ব্যাপক বোমাবাজিতে ফের রণক্ষেত্র ভাটপাড়া, নিহত ২
Live Blog
West Bengal and Kolkata news today updates of weather, traffic, train services and airlines কলকাতা সহ রাজ্যের সব খবরের আপডেট জানতে দেখুন, Follow the upadte here:
West Bengal news today updates সারদা মামলায় তদন্তের গতি বাড়াতে প্রাক্তন সিবিআই অফিসার ফণীভূষণ করণকে এক বছরের এক্সটেনশন দিল সেন্ট্রাল বুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। তাঁকে পরামর্শদাতার পদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সকালে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। ফণীভূষণের হাত ধরেই সারদা মামলায় গতি আনতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সবিস্তারে পড়ুন
সারদা মামলায় গতি আনতে নয়া কৌশল সিবিআইয়ের
মহানগরে পরপর ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এবার সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন শহরের সঙ্গে সংযুক্ত একদল বিশিষ্ট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা একটি চিঠিতে তাঁরা জানালেন, গোটা সম্প্রদায় এই ঘটনাগুলির জন্য “মর্মাহত এবং স্তম্ভিত”, এবং তাঁর সরকারের তথাকথিত ‘সংখ্যালঘু তোষণ’ যেন দোষীদের শাস্তির পথে বাধা সৃষ্টি না করে। আর কী কী লিখেছেন তাঁরা? বিস্তারিত পড়ুন কেন মমতাকে চিঠি লিখলেন শহরের বিশিষ্ট সংখ্যালঘুরা?
আগামিকাল ভাটপাড়া পরিদর্শনে যাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সুরজ সিং আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে ভাটপাড়ার পরিস্থতি খতিয়ে দেখতে যাবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় দুই নেতা তথা প্রাক্তন আইপিএস সত্যপাল সিং এবং ভিডি রাম প্রসঙ্গত, ভাটপাড়ার এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এবং সরাসরি পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপি সূত্রের খবর, ভাটপাড়া পর্যবেক্ষণের পর তাঁর রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। অপরদিকে, আগামীকাল ভাটপাড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যাবেন বাম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।
ভাটপাড়ার প্রতিবাদে শহরের রাস্তায় বিজেপি। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে পুলিশের পক্ষ থেকে আটকে দেওয়া হয় এই মিছিল। ' মুখ্যমন্ত্রির নির্দেশেই গুলি চলেছে' এদিন মিছিলের শুরুতে বিস্ফোরক দাবি বিজেপির। অন্যদিকে, আজ বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে ভাটপাড়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "ভাটপাড়া এলাকা দখল নিয়ে তৃণমুল বিজেপি যেভাবে সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরি করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। এই ঘটনার দায় কার? মুখ্যমন্ত্রী দু'বার গিয়েও যদি সমস্যা না মেটাতে পারেন তাহলে অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীকে এই দায় নিতে হবে। যেভাবে পরপর কমিশনার বদল করছে তাতে এটা স্পষ্ট সরকারের মাথা বলে কিছু নেই। নয়তো মাঝ রাস্তায় ডিজি ল্যাজ গুটিয়ে পালালেন? পশ্চিমবাংলার সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই অবিলম্বে সর্বদলীয় সভা ডাকুন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বলুন যে আপনি এবং আপনার প্রশাসন ফেল করেছেন। এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। বাম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে আগামিকাল ভাটপাড়ায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করবো।"
পুরসভা ভোটের আগে দলের রাশ ধরে রাখতে এবার দলের অন্দরে বেশ কিছু রদবদল ঘটালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্ব ভাগ করে দেন স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। বারাসাতের দায়িত্ব পেলেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে বিধায়ক নির্মল ঘোষ, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে এলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্ব পান গোবিন্দ দাস, দমদম লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে এলেন মন্ত্রী তাপস রায়। এদের সকলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবেন জেলার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জোতিপ্রিয় মল্লিক। তৃণমূলের অন্দর থেকে তেমনটাই খবর।
“আমার ভাইপোর দোষটা কোথায়? ও তো কোনওদিন রাজনীতি করেনি। ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাতো। কেন কাঁকিনাড়া বাজারে গুলি চালায় পুলিশ?" এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে নিহত রামবাবু সাউয়ের পরিবার। ছেলের এই মৃত্যুকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেন নি তিনি। শোকাহত মা বারবার বলছেন, “আমার ছেলে মরে নি। দূরে কোথাও আছে। কালকে নিশ্চয়ই ও চলে আসবে।” বিস্তারিত পড়ুন, ‘পুলিশ কেন নিরীহদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ল’? প্রশ্ন ভাটপাড়ায় নিহতদের পরিবারের
এবার মহানগরে ধরা পড়ল সেই ভাইরাস। কলকাতার সল্টলেকে মৃত্যু হল সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত এক ব্যক্তির। বিগত তিন দিনে সল্টলেক আমরি হাসপাতালে তিন রোগীর শরীরে এইচ ওয়ান এন ওয়ান ভাইরাস ধরা পড়ে। বাকি দু’জন এখনও ওই হাসপাতালে চিকিৎসারত। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ার কারণ নেই, অল্প কয়েকটি কেস নথিভুক্ত হয়েছে। আমরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছি”। সবিস্তারে পড়ুন, শহরে সোয়াইন ফ্লু-তে মৃত এক
ভাটপাড়ার ঘটনায় সরাসরি পুলিশ প্রশাসনকে দায়ি করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে সিপির অফিস ঘেরাও করে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। যে দুজন মারা গেছে তাঁরা বিজেপির সমর্থক, দাবি অর্জুন সিংয়ের। সিপির অফিসের সামনে বিক্ষোভের পর নিহতদের মৃতদেহ নিয়ে ব্যারাকপুড়ে শোক মিছিল করবে বিজেপি, জানান বিজেপির সাংসদ। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের দাবি পুলিশ প্রহরায় থাকার পরেও কীভাবে ফের বোমাবাজি করার সাহস পায় দুষ্কৃতীরা। সব মিলিয়ে এখনও উত্তপ্ত ভাটপাড়ার পরিস্থিতি।
বুধবারত থেকেই অশান্ত ছিল ভাটপাড়া এলাকা। বোমাবাজি, গুলিবর্ষণকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ফের অশান্ত হয় ভাটপাড়া। দুষ্কৃতী পুলিশের গুলির লড়াইয়ে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন বিক্রেতা। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাস্তায় নামান হয় র্যাফ। কিন্তু তার মাঝেই ফের বোমাবাজি দুষ্কৃতীদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি বাইকে করে এসে দুজন দুষ্কৃতী কৌটোবোমা ফেলে যায়। তবে বোমা না ফাটলেও আতঙ্ক বজায় ছিল। পরবর্তীতে বম্ব স্কোয়াড এসে সেই বোমা উদ্ধার করে। বিশাল পুলিশ বাহিনী থাকলেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বৃহস্পতিবার গুলির লড়াইয়ে অশান্ত হয় ভাটপাড়া। গুলির লড়াইয়ে নিহত হন একজন। আজ কমিশনারের অফিসের সামনে বিক্ষোভে বসবেন অর্জুন সিং সহ বিজেপি কর্মীরা। তার দাবি, "হাওয়ায় চটি পড়ে বাইরের দুষ্কৃতীরা গুলি চালাচ্ছে। পুলিশই গন্ডগোল করছে। পুলিশই গুলি ছুড়ছে, হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে লেলিয়ে দিচ্ছে গুলি চালাতে। পুলিশের মেইন লোক মাথায় গুলি করে মেরেছে লোকটাকে। এমনকি পুলিশের আস্কারাতেই কামারহাটিতে গুন্ডারা এখানে আসে রাত্রিবেলায়”। এমতো অবস্থায় আজ ভাটপাড়া এলাকা পরিদর্শনে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিজেপি সূত্রের খবর, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে আজ ভাটপাড়ায় যাবে প্রতিনিধি দল। এলাকা পরিদর্শন করে তার একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে।