Ram Navami-Mamata Banerjee: গতকালই পুরুলিয়ার হুড়ায় নির্বচনী জনসভা থেকে রাম নবমীর (Ram Navami) দিন 'দাঙ্গা'র আশঙ্কার কথা শোনা যায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে। তা নিয়ে BJP মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তুমুল সমালোচনা করেছে। এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) তরফেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া মিলেছে। একইসঙ্গে এবারের রাম নবমী পালনে বিরাট চমকের কথাও শুনিয়েছেন VHP-র এই নেতা।
গতকাল পুরুলিয়ার হুড়ায় নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভামঞ্চ থেকেই রাম নবমীর দিন দাঙ্গার আশঙ্কার কথা শোনা যায় তৃণমূলনেত্রীর মুখ থেকে। তিনি বলেছিলেন, “আবার রামনবমী (Ram Navami) আসছে। একটা চকোলেট বোমা ফাটলেও দেখবেন NIA- পাঠিয়ে দেবে। মিছিল করুন, মিটিং করুন দাঙ্গা করবেন না। দাঙ্গা করবে ওরা। ১৯ তারিখ ভোট, ১৭ তারিখ দাঙ্গা করবে। তোমাদের তো রাম কানে কানে বলে দিয়ে যায়নি যে তুমি দাঙ্গা করো। কিন্তু এরা দাঙ্গা করবে। দাঙ্গা করেই NIA ঢুকিয়ে দেবে। কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আশঙ্কা প্রকাশ নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এমন আশঙ্কা থাকলে যাদের নিয়ে সেই আশঙ্কা, তাদের আগেই গ্রেফতার করুন। উনি কেন আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন? গতবার হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় দাঙ্গা হল। NIA ২১-২২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এবছর বলছে, হাওড়ার ওই রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা যাবে না। জিটি রোড দিয়ে শোভাযাত্রা করতে দেবে না বলছে। আমরা প্রতি বছর যে রুটে করি সেই রোডেই এবারও শোভাযাত্রা করব। ফোরশোর রোডে গিয়ে করতে বলছে।"
তিনি আরও বলেন, "ভোটের জন্য রাম নবমীর ছুটি দিয়েছেন উনি। সব জায়গাতেই এবার কর্নসূচি হবে। গতবারের চেয়ে এবার আরও বেশি কর্মসূচি হবে। এবছর গ্রামে-গ্রামে অনুষ্ঠান হবে। সারা বাংলা গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে যাবে। বাংলাতেও রামভক্ত সরকারকে নিয়ে আসতে হবে। এই আদর্শই আমরা প্রচার করছি। আমরা নির্দিষ্ট কোনও দলকে ভোট দিতে বলব না। আমরা রাম রাজ্যের জন্য ভোট চাইব।"
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today: আজও ঝেঁপে বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? কাল থেকেই আরও বড় হাওয়া বদল দক্ষিণবঙ্গে!
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঙ্গা আশঙ্কা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি গতকাল বলেন, "রাম নবমীতে অশান্তির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উসকানি দিয়েছেন। এতে আমরা আশঙ্কিত।"