জমি বিতর্ক তুঙ্গে। এসবের মধ্যেই সোমবার শান্তিনেকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের‘প্রতীচী’তে যান মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের ভূমি সংস্কার দফতর থেকে সংগ্রহ করা নথি তিনি অর্মত্য সেনের হাতে তুলে দিয়ে রীতিমতো হুংকার দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা নস্যাৎ করেছেন বিশ্বভারতীর দাবি। এদিকে অর্মত্য সেনের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে আশ্বস্ত করলেও বিশ্বভারতী যে তাঁদের অবস্থান থেকে সরছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন উপাচার্য ড. বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বরং লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
উপাচার্য ড. বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'আমরা লড়ব। উনি যদি আদালতে যায় ভাল তো। আমরা চাইছি তো। কাগজপত্র জমা দিন। জমি সংক্রান্ত বিষয়টা পরিস্কার হোক। ওনারও অসম্মান হবে না আমাদেরও অসম্মান হবে না। আমাদেরও তো খারাপ লাগছে, আমাদের কি ভাল লাগছে? আমাদের কাছে কাগজ আছে। জমি তো আমাদের।' অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, অর্মত্য সেনের জমি সংক্রান্ত বিতর্ক যে কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং আরও বাড়তে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি প্রসঙ্গে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, 'জমি তো রাজ্য় সরকারের নয়। জমি তো বিশ্বভারতীর জমি। উনি লিজ হোল্ডার। ওনার ব্যক্তিগত জমিও নয়। আমরা ইচ্ছা করলে লিজ রিনিউ করতে পারি নাও করতে পারি। আমার রিনিউ করেছি। রাজ্য় সররকারের জমি নথি ভুক্তিকরণে এখনও অমর্ত্য সেনের নাম আসেনি। বাবার আশুতোষ সেনের নাম রয়েছে। তাই কাগজগুলো দেখতে চাই। ২০০৬ সালে রিনিউ করা হয়েছে।' 'লীজ হোল্ডার জমিতে কি করে থাকতে পারে মৃত ব্যক্তির নাম?' প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য। বলেন, 'গায়ের জোর সব কিছু থাকতেই পারে।'
আরও পড়ুন- ‘ভ্যান ভ্যান করে অপমান, শেষ দেখে ছাড়ব’, অমর্ত্যকে জমির কাগজ তুলে আশ্বাস মমতার
মমতা এদিন বলেছেন, ‘অমর্ত্যদাকে বিজেপি যেন অপমানের চেষ্টা না করে। আর বিজেপির গৈরীকিধারী লোকরাও যেন এসব না করেন। ওকে বিজেপি সম্মানের চেষ্টা তো করেননি, উপরোন্তু ১৩ ডেসিবেল জায়গার জন্য অপমান করে যাচ্ছেন।’ এপ্রসঙ্গে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর জবাব, 'গৈরিকীকরণ কোথায় হয়েছে? উনি উদাহরণ দিন। যাই বলুন মুখ্যমন্ত্রী জমি নিয়ে আমরা আমাদের দাবিতে অনড়।'
Exclusive: অমর্ত্যর 'প্রতীচী'তে দাঁড়িয়ে মমতার চ্যালেঞ্জ! কিন্তু অবস্থানে অনড় বিশ্বভারতীর উপাচার্য
লড়াই জারি রাখার বার্তা
Follow Us
জমি বিতর্ক তুঙ্গে। এসবের মধ্যেই সোমবার শান্তিনেকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের‘প্রতীচী’তে যান মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের ভূমি সংস্কার দফতর থেকে সংগ্রহ করা নথি তিনি অর্মত্য সেনের হাতে তুলে দিয়ে রীতিমতো হুংকার দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা নস্যাৎ করেছেন বিশ্বভারতীর দাবি। এদিকে অর্মত্য সেনের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে আশ্বস্ত করলেও বিশ্বভারতী যে তাঁদের অবস্থান থেকে সরছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন উপাচার্য ড. বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বরং লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
উপাচার্য ড. বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'আমরা লড়ব। উনি যদি আদালতে যায় ভাল তো। আমরা চাইছি তো। কাগজপত্র জমা দিন। জমি সংক্রান্ত বিষয়টা পরিস্কার হোক। ওনারও অসম্মান হবে না আমাদেরও অসম্মান হবে না। আমাদেরও তো খারাপ লাগছে, আমাদের কি ভাল লাগছে? আমাদের কাছে কাগজ আছে। জমি তো আমাদের।' অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, অর্মত্য সেনের জমি সংক্রান্ত বিতর্ক যে কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং আরও বাড়তে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি প্রসঙ্গে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, 'জমি তো রাজ্য় সরকারের নয়। জমি তো বিশ্বভারতীর জমি। উনি লিজ হোল্ডার। ওনার ব্যক্তিগত জমিও নয়। আমরা ইচ্ছা করলে লিজ রিনিউ করতে পারি নাও করতে পারি। আমার রিনিউ করেছি। রাজ্য় সররকারের জমি নথি ভুক্তিকরণে এখনও অমর্ত্য সেনের নাম আসেনি। বাবার আশুতোষ সেনের নাম রয়েছে। তাই কাগজগুলো দেখতে চাই। ২০০৬ সালে রিনিউ করা হয়েছে।' 'লীজ হোল্ডার জমিতে কি করে থাকতে পারে মৃত ব্যক্তির নাম?' প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য। বলেন, 'গায়ের জোর সব কিছু থাকতেই পারে।'
আরও পড়ুন- ‘ভ্যান ভ্যান করে অপমান, শেষ দেখে ছাড়ব’, অমর্ত্যকে জমির কাগজ তুলে আশ্বাস মমতার
মমতা এদিন বলেছেন, ‘অমর্ত্যদাকে বিজেপি যেন অপমানের চেষ্টা না করে। আর বিজেপির গৈরীকিধারী লোকরাও যেন এসব না করেন। ওকে বিজেপি সম্মানের চেষ্টা তো করেননি, উপরোন্তু ১৩ ডেসিবেল জায়গার জন্য অপমান করে যাচ্ছেন।’ এপ্রসঙ্গে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর জবাব, 'গৈরিকীকরণ কোথায় হয়েছে? উনি উদাহরণ দিন। যাই বলুন মুখ্যমন্ত্রী জমি নিয়ে আমরা আমাদের দাবিতে অনড়।'