Advertisment

'বাঙালি হিসাবে বিশ্বভারতীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না, ধ্বংস করছি', হতাশ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

পৌষমেলা বন্ধ থেকে ছাত্র আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব়্যাঙ্ক নেমে যাওয়া, জমি দখলের অভিযোগ, নানা বিষয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে অকপট উপাচার্য।

author-image
Joyprakash Das
New Update
vasant vandana will be held in visva bharati instead of vasant utsav

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

'বাঙালি হিসাবে আমরা বিশ্বভারতীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না, ধ্বংস করছি।' ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পৌষমেলা বন্ধ থেকে ছাত্র আন্দোলন। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব়্যাঙ্ক নেমে যাওয়া, জমি দখলের অভিযোগ, নানা বিষয় উঠে এল একান্ত সাক্ষাৎকারে। সোজাসাপটা জবাব দিলেন উপাচার্য।

Advertisment

প্রশ্ন- বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নিয়েও তো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- সমাবর্তন যে করতে পারলাম না তার জন্য একটা বাজে বার্তা গিয়েছে। যাঁরা এটাকে ভাঙলেন তাঁরা হয় তো খুশি হচ্ছেন। এর ফলে বিশ্বভারতী কলঙ্কিত হল। আমার অবসরের ১১ মাস বাকি আছে। তবে যে অনিয়ম ছিল সময়ে অফিসে আসত না, শিক্ষকরা ক্লাস নিতেন না, এসব আর হয় না। পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। ফল সময়ে বের হচ্ছে, অনলাইনে ভর্তি চলছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সুপারিশ মানা হচ্ছে না। তাই ভাল ভাল ছেলেমেয়ে পেয়েছি। পরবর্তীতে বিশ্বভারতী নিজের জায়গায় আসতে পারবে।

প্রশ্ন- বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং নিম্নমুখী?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- এর জন্য তো উপাচার্য দায়ী নয়। আমরা পিএইচডি করাব না, আমরা পড়াশুনা করব না। আমরা পাবলিকেশন করব না, আমরা রাজনীতি করে বেড়াব। ভিসি তো প্রতিবছর দু-তিনটে বই লেখেন। আমি আসার আগে আমরা দু-বছর অ্যাকাডেমিকস কোয়ালিটি রিভিউ দিতে পারিনি। ৫ বছরের অ্যাসেসমেন্ট ৩ বছর করিয়েছি। আমরা ভিজিটে এ প্লাস প্লাস হয়েছি। এটা কেউ বলছে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ২০২৬-এ বিশ্বভারতী র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক উঁচুতে উঠবে।

প্রশ্ন- বিশ্বভারতীতে এখনও পর্যন্ত আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- এই বিশ্বভারতীতে তিনজন অধ্যাপককে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। এখানে সত্যেন বোসের মতো শিক্ষককে পদত্যাগ করতে হয়েছিল, অম্লান দত্তর মতো শিক্ষককে পদত্যাগ করতে হয়েছ। বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ঐতিহাসিক সব্যসাচী ভট্টাচার্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস পদত্যাগ ও তালাবন্ধের। এটা এখানকার সংস্কৃতি। আমি অবশ্য এতটা ভদ্রলোক নই। আমার কাছে গায়ের জোরে আদায় করার প্রচেষ্টা হলে আমি আরও বেশি শক্ত হব। আমার বয়সও বেশি। আমি হাইয়েস্ট অথরিটি অব এনভায়রনমেন্টে এসে গিয়েছি। আর কিছু পাওয়ার নেই। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। যখন প্রধানমন্ত্রী আছেন তখন বিশ্বভারতীকে বিশ্বভারতী করতে পারব। সব থেকে আমার দুঃখ লাগে এটা এমন একজন মানুষ করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রানথ ঠাকুর। বাঙালি হিসাবে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না বাঙালি হিসাবে এটাকে ধ্বংস করছি। কারণ মনে হয় নিজেরা অনেক ভুল কাজ করেছি। পূর্বসুরির সময় ৫৬টা নিয়োগই ছিল বেআইনি। এখানে অনেক অন্যায় হত। পয়সাকড়ি নয়ছয় হত। গত একবছরে ৪ কোটি টাকা উদ্ধার করেছি।

প্রশ্ন- জমি উদ্ধারের কাজ চলছে?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট জমি আছে ১১৩৪ একর। তার মধ্যে আমি যখন এসেছিলাম তখন ৭৭ একর জমি বেদখল হয়েছিল। তার মধ্যে ১২ একর জমি উদ্ধার করতে পেরেছি। এখনও ৬৫ একর জমি অন্যদের কব্জায় রয়েছে। কোথাও শিবলিঙ্গ করে দখলের চেষ্টা হয়েছে, কোথাও বা হনুমান মন্দির করা হয়েছে জমি দখল করার জন্য। এভাবেও জমি কব্জা হয়। আমি তো অপ্রিয় হবই। স্থানীয় কিছু লোকের জন্য আমরা নিজেদের জমিতে বাউন্ডারি ওয়ালও দিতে পারছি না। নানা ভাবে বিশ্বভারতীকে অত্যাচার করা হচ্ছে। বিশ্বমানব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আমাদের কোনও কর্তব্য নেই। গুরুদেবও দুঃখ ভোগ করে গিয়েছেন। বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বভারতী করার পরও অপমানিত হয়েছেন গুরুদেব। আমি তো ছোট্ট মানুষ, এগুলো কিছুই অস্বাভাবিক নয়।

প্রশ্ন- পূর্বপল্লীর মাঠে মেলা না হওয়ার মূল কারণ কি?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- মেলা না হওয়ার মূল কারণ হল ২০১৯ সালে আমরা বিশ্বভারতীর তরফে মেলা করেছিলাম। ন্যাশনাল গ্রীণ ট্রাইবুনালের নিয়ম অনুযায়ী মেলা ৪ দিনে ভাঙার কথা ছিল। সেটা ভাঙতে গিয়ে পুলিশ আমাদের ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। কর্মীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। ন্য়াশনাল গ্রীণ ট্রাইবুনাল আমাদের কাছে ২৫ লক্ষ টাকা ফাইন করে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ১০ লক্ষ টাকা ফাইন করে। তাছাড়া মেলা হয়ে যাওয়ার পরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। সুতরাং ৪০ লক্ষ টাকার ধাক্কা অথচ বিশ্বভারতীর এক পয়সাও রোজগার ছিল না। যারা রোজগার করেন অর্থাৎ ট্রাস্টি বা যাঁরা দোকান দিয়েছিলেন তাঁরা সাহায্য করেননি। আমি সিকিওরিটি মানি নিয়েছিলাম। যাতে এই সমস্ত কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারি, তখন রাজনৈতিক চাপ আসায় তারপরে পুরো সিকিওরিটি মানি ফেরত দিই। মেলার জন্য বিশ্বভারতীকে খয়রাতি দেওয়াটা কি ঠিক? অথচ রোজগার শূন্য। আর সরকার থেকে এই ধরনের কোনও সাহায্য আমরা পাব না। মেলা করলে যে খরচ হবে, তাছাড়া এফআইআর, আমাদের পক্ষে এগুলো সহ্য় করা কঠিন। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম মেলা যদি করতে হয রাজ্য় সরকারকে সাহায্য় করতে হবে, এফআইআর, ফাইন মুকুব করতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার থেকে সাহায্য পাইনি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছিলাম, মুখ্যসচিবকে লিখেছিলাম। কিন্তু কোনও সাড়া শব্দ পাইনি। মেলাটা বোধহয় বিশ্বভারতীর মাঠে করাটা ঠিক হবে না।  

প্রশ্ন- এফআইআর কাদের বিরুদ্ধে হয়েছিল, তাতে কি অভিযোগ ছিল?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- এফআইআর হয়েছিল উপাচার্য ও আমার সঙ্গে থাকা ১০-১২ জন ননটিচিং স্টাফের বিরুদ্ধে। এফআইআরে একটা অভিযোগ ছিল শ্লীলতাহানি। আমরা বিকেল চারটের সময় যখন মেলা ভাঙতে গিয়েছিলাম একজন মহিলা শান্তিনিকেতন থানায় রিপোর্ট করেন আমরা নাকি তাঁকে শ্লীলতাহানি করেছি, সেটা পুলিশ গ্রহণ করে। আমি মেলার জিনিসপত্র চুরি করি, আমার রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়। এটা দুটো প্রধান এফআইআর। এই ঘটনায় আমরা ভীষণভাবে লজ্জিত ও আমরা একটু ভয়ও পেয়েছি।

প্রশ্ন- কেন বারে বারে অবস্থান হচ্ছে?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- এখানে আসার পর কখনও কর্মীদের সংগঠন তালাবন্দী করে রেখে দিয়েছে। কখনও ছাত্ররা তালাবন্দী করে রেখে দিয়েছে। তার কারণ হচ্ছে যাদের ভর্তি আইনত সম্ভব নয়, তাঁদের ভর্তি করতে হবে। এই গায়ের জোরে ভর্তি করার প্রচেষ্টা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সেটা সফল হবে না।

প্রশ্ন- মেলার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক আছে?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- মেলার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর একটা ডিড করেছিলেন। ১৮৬১ সালে ডিডিটা তৈরি হয়। ১৮৯১ সাল থেকে সেটা চালু হয়। তিনজন মেম্বার হয়। একটা সময় পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলর মেম্বার ছিলেন। ভিসি মেম্বার থাকবেন কি থাকবেন কিনা সেটা অপশনাল। আমি মেম্বার নেই। মেলা করার দায়িত্ব ট্রাস্টির। ২০১৯-এ মেলা নিয়ে যে অত্যাচার বিশ্বভারতীর ওপর নেমে এল তখনই মনে হল এই মেলার সঙ্গে বিশ্বভারতীর থাকা ঠিক নয়। তাই মেলা থেকে সরে এসেছি। সহকর্মীরাও একমত মেলা নিয়ে। যেভাবে অপমান, অসম্মান করা হয়েছে। তাতে মেলা না করাই ভাল।

প্রশ্ন- আপনি কেন ট্রাস্টের সদস্য হননি?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- আমার যত দিন মনে পড়ছে ভিসির যোগ ১৯৬৭ থেকে। তখন থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যরা ট্রাস্টির মেম্বার হত। আমার পূর্বসুরী সুশান্ত দত্তগুপ্ত সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালেও আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। ট্রাস্টের সবটা না জেনে মেম্বার হওয়া ঠিক হবে না, তাই সেই মুহূর্তে সদস্য পদ নিতে অপারগ ছিলাম। সেই জন্য আমি ট্রাস্টের সদস্য নই।

প্রশ্ন- সমাবর্তন অনুষ্ঠান এক এক করে বন্ধ হতে বসেছে। কি বলবেন?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-  আমাদের সবার জন্য অভিপ্রেত অনুষ্ঠান। এখানে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এটা ছাত্রদের কাছে মনোরমকারী অনুষ্ঠান। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুরের সঙ্গে কথা হয়েছিল এখানে আসার। কিন্তু গত ১০ তারিখ ওনার আসার কথা। রবিবার ছিল সমাবর্তন। তাঁর সঙ্গে আসার কথা ছিল অ্যাটর্নি জেনারেল অফ ইন্ডিয়া আর ভেঙ্কটরমনির। এখন বিশ্বভারতীর যা পরিস্থিতি আমি সাহস পেলাম না। এঁরা আমার খুব ঘনিষ্ঠ। এদেরকে ডেকে অপমান করার অধিকার আমার নেই। আমাকে বন্দি করে রেখেছে। সকাল সন্ধ্যা আমাকে গালিগালাজ করে যাচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা দেবে রাজ্য পুলিশ তাঁরা এই আন্দোলনকারীদের কিভাবে দেখবেন বা নিয়ন্ত্রণ করবেন সেই ধারনা আমার নেই। সেই সমস্ত আশঙ্কার জন্যই বাতিল করেছি সমাবর্তন।

প্রশ্ন- স্কুল পর্যায়ের সমাবর্তন কি হবে?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- স্কুলের একটা সমাবর্তন হয় এখানে। ১০ ও ১২ ক্লাসের সমাবর্তন হওয়ার কথা ২৪ ডিসেম্বর। অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর আসার কথা রয়েছে ওই অনুষ্ঠানে। এই মুহূর্তে আমি দ্বিধায় আছি যদি এইরকম পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে তাহলে ওনাকে আনা যথেষ্ট বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিনা। এখনও আমি সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে এমন পরিস্থিতি চললে অসমের রাজ্যপালকে আনা যাবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি তবে এমন চললে সিদ্ধান্ত সেদিকে যেতে পারে। এখানে ডেকে কাউকে তো অপমান করা যায় না।

প্রশ্ন- ৭ পৌষ ছাতিমতলার অনুষ্ঠান কি হবে?

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- পৌষ উৎসবের রিচুয়ালগুলি বরাবরই করব ঠিক করেছি। এই ২ বছর মেলা হয়নি কিন্তু পৌষ উৎসব করেছি। এবারের পরিস্থিতি এমনই যে যখন ভিসি-কে আপমান করা হচ্ছে, তুই তুই করে কথা বলা হচ্ছে, তাঁকে মারধর করা হচ্ছে। সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। সহকর্মী শিক্ষকদের একাংশের অভদ্রতা, অবিবেচক কাজকর্ম বিশ্বিবিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান কতটা করতে পারব তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মন নিয়ে এসেছিলাম সেই মনটা ভেঙে গিযেছে। এখানে বিশ্বভারতীকে কেউ ভালবাসে না। বিশ্বভারতী দেখে একটা জিনিসই মনে হয় সেই গল্পটা মনে পড়ে। সোনার ডিমের হাঁস মেরে দেওয়ার মতই ঘটনা ঘটছে এখানে। শিক্ষকরা দু-আড়াই লক্ষ টাকা মাইনে পান, ছাত্র-ছাত্রীরা খুব কম পয়সায় পড়ার সুযোগ পান, কিন্তু বিশ্বভারতীর দিকে কারও নজর নেই। দেখভাল করার বা উন্নতির জন্য যে পরিশ্রম করা দরকার করে না। বুধবারে মন্দির, পৌষ উৎসব, মাঘ মেলা, হল কর্ষণে ভাল ভাল মানুষ এসেছেন সেই অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের হাজির হতে দেখি না। আন্দোলনকারীরাও যাননি। গায়ের জোরে ভিসির ওপর ওদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে। অনেক অন্যায় হয়েছে, ভর্তিতেও অন্যায় হয়েছে, কিন্তু আমি কোনওরকম অন্যায় বরদাস্ত করব না। ওদের উদ্দেশ্য সাফল্যমন্ডিত হবে না যতদিন আমি চেয়ারে বসে আছি।

প্রশ্ন- আপনার পদত্যাগের দাবি উঠছে।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী- পদত্যাগের ব্যাপারে আমার খুব হাসি পায়, হাসি পায় এই কারণে যাঁরা বলছেন তাঁরা কি আমাকে চাকরি দিয়েছেন? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তার একটা প্রক্রিয়া আছে। সেখানে অন্তত ৩০০জন আবেদন করেছেন। তার মধ্যে থেকে আমাকে মনোনীত করা হয়েছে, সেই নিয়োগপত্রে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। হাসি পায় যখন বলে আপনি পদত্যাগ করেনি। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসেছে এটা হাসির খোরাক।

প্রশ্ন- শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ করছে, কেন?

বিদ্যুত চক্রবর্তী- এখন রাবীন্দ্রিক মানে নিজের পাওনাগন্ডা কি করে মিটিয়ে নেব। দাবি-দাওয়া গায়ের জোরে সব নিয়ে নেব। এটা বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি। এটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি বলেই যত সমস্যা।

visva bharati shantiniketan West Bengal Visva-Bharati University Visva-Bharati Bidyut Chakraborty
Advertisment