Advertisment

বেসরকারি রক্ষীরা তৃণ-মুখী, বিশ্বভারতীতে সিআইএসএফ নিরাপত্তা চান উপাচার্য

সূত্রের খবর, উপাচার্যের চিঠির ভিত্তিতে বিশ্বভারতীতে সিআইএসএফ নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে কেন্দ্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্থায়ী ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ নিয়োগের দাবি জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।

সুরক্ষার স্বার্থে স্থায়ী ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ নিয়োগের দাবি জানালেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মানব সম্পদ উন্নয় মন্ত্রকে ইতিমধ্যেই চিঠি লিখে সিআইএসএফ মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদনের একটি প্রতিলিপি প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীই হলেন বিশ্বভারতীর আচার্য।

Advertisment

চিঠিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, 'বর্তমানে যেসব বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করেন তারা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি অনুগত। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা আধিকারিকের নির্দেশ মান্য করে না। কাজে গাফিলতির কারণে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের কাজ থেকে বাদ দেওয়া হলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের হয়ে কথা বলেন। এই পরিস্থিতে বিশ্বভারতীর সঠিক পরিচালনা ও শান্তি বজায় রাখতে সিআইএসএফ বাহিনী নিয়োগ করা হোক।'

আরও পড়ুন: সমাবর্তনে পরতে হবে খাদির পোশাক, বিশ্ববিদ্যালয়দের নির্দেশ ইউজিসি-র

বিশ্ববিদ্যালয়দের নির্দেশ ইউজিসি-রসূত্রের খবর, উপাচার্যের চিঠির ভিত্তিতে বিশ্বভারতীতে সিআইএসএফ নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে কেন্দ্র।

ত কয়েক বছরের নানা কারণে উত্তাল হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের ফি বৃদ্ধি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয় পড়ুয়া ও অশিক্ষক কর্মচারীরা। ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্যকে। অন্যান্য আধ্যাপকদেরও সেই সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের কর্তব্য পালন করেনি বলে অভিযোগ। এমনকী তারা আন্দোলনকারীদের আন্দোলন করতেও ইন্ধন যুগিয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সেই ঘটনার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষার জন্য সিআইএসএফ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা চেয়ে গত মাসে মানব সম্পদ উন্নয় মন্ত্রকে চিঠি লেখেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: শোভন কি ফের তৃণমূলে? গুরুত্ব দিচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি

বর্তমানে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই আধা সামরিক বাহিনী বা পুলিশ স্থায়ীভাবে মোতায়েন নেই। তবে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আবেদন নজির বিহীন নয়। এর আগে, ২০১৭ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) একই অনুরোধ জানিয়েছিল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে। বিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের সুরক্ষার জন্যই সেই আবেদন করা হয়। কিন্তু, সেটি এখনও বিবেচনাধীন স্তরেই রয়েছে।

শিক্ষা প্রাঙ্গনে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টি সংবেদনশীল বলেই মনে করা হয়। সাধারণত ধারণা করা হয় যে, মতপার্থক্যের অধিকার ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চাপা দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়।

Read the full story in English

All India Trinamool Congress
Advertisment