বারবার বিতর্কে বিদ্ধ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। গতকাল বোলপুরের সভা থেকেও অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি বিতর্ক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ বিতর্কে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে না না করে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির স্ট্যাম্পমারা লোক বলে তোপ দেগেছেন উপাচার্যকে। এরপরই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বললেন, "আমাকে নিয়োগ করেছেন দেশের প্রথম নাগরিক রাষ্ট্রপতি। অনেকেই দাবিদার ছিলেন। আমাকে বিজেপি সরকার নিয়োগ করেছে মানে রাজ্য সরকারের নিয়োগ করা সব ভিসি তাহলে তৃণমূলের লোক?"
এদিন বিদ্যুৎবাবু মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষের জবাবে বলেছেন, "বিশ্বভারতীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন হলে তা রক্ষা করতে প্রাণও দিতে পারি। কেউ না এলে একলা চলব, কিন্তু সেটা একা নয়। আরও অনেকে সমষ্টিগত ভাবে ৷ অনেকের স্বার্থে ঘা লেগেছে। এই বিশ্বভারতীকে আমি বিশ্বভারতী করব।" মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয় নিয়ে উপাচার্য বলেছেন, "আমি কিন্তু বোলপুরে ওঁর সাথে দেখা করার চিঠি পাঠিয়েছিলাম। উত্তর পাইনি ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কিন্তু ওঁকে সম্মান করি৷ মতান্তর তো থাকবেই ৷ আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে। কিন্তু বিশ্বভারতীর স্বার্থ সবচেয়ে উপরে। ওটা মেনেই আলোচনা করতে হবে৷"
আরও পড়ুন “উনি ৩ বার তিন ধর্মে বিয়ে করেছেন”, অমর্ত্য সেনকে ‘নীতিজ্ঞান’ নিয়ে তোপ দিলীপের
সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ির জমি নিয়ে একটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তুলেছে, অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি 'প্রতীচী'র জমি নাকি বেশ কিছুটা দখল করা হয়েছে। এই নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। অমর্ত্য সেনকে চিঠি লিখে তাঁর পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মমতা। তারপর গতকাল এই নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অমর্ত্য সেনকে হেনস্তা করার অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন এদিন উপাচার্য।
বিদ্যুৎবাবু বলেছেন, "উনি জগদ্বিখ্যাত মানুষ। ওঁর সঙ্গে এক-আধবার দেখা হয়েছে। উনি আমার নমস্য ব্যক্তি। এর সঙ্গে বিশ্বভারতীর যোগ নেই। আমার কাছে বিজেপি-তৃণমূল ম্যাটার করে না। আমার কাছে বিশ্বভারতী ম্যাটার করে। বিশ্বভারতীর যাতে ভাল হয় সেই কাজ করছি। আর এসব কেন করব? উনি পৃথিবী বিখ্যাত। কিন্তু অডিটে উঠে এসেছে এই অভিযোগ।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন