/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/27/nanur-girl-murder-mamata-visit-controversy-2025-07-27-14-46-45.jpg)
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ফের উপহার মমতার
Mamata Banerjee: বিশ্বকর্মা পুজোয় রাজ্যে সরকারি ছুটির বিরাট ঘোষণা। বুধবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক সভা থেকেই এই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন বিশ্বকর্মা পুজোতে ছুটি থাকত না রাজ্যে। তবে চলতি বছর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতর, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে ছুটি থাকবে। শ্রমজীবী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভামঞ্চ থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক পরিযায়ী শ্রমিককে শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি বলি, আরও জোরে বাংলা বলুন, দেখি ওরা কতদূর যায়।”
এরপর অসমের এনআরসি প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের এনআরসি নোটিস পাঠানো হচ্ছে। বাংলাভাষী বলেই আমাদের মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আদিবাসী মহিলাদেরও রেহাই দিচ্ছে না।”
বিজেপি শাসিত কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা বাংলা চালাতে পারবেন না। বাংলা চালাবে বাংলা, দিল্লি নয়। কেন্দ্র শুধু নিজেদের প্রচার নিয়েই ব্যস্ত। সমস্ত টাকা খরচ হচ্ছে বিজ্ঞাপনে। আমি কোনওদিন নিজের নামে কিছু ভাবিনি, সবসময় বাঙালি মহান ব্যক্তিত্বদের নামেই প্রকল্পের নামকরণ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলায় বাংলা বলব, আবার অন্য ভাষাও শিখব। আমরা কোনও ভাষাকে অসম্মান করি না। সবাই নিজেদের পছন্দমতো ভাষায় কথা বলুন। তবে আমি কেন বাংলা বলব না?” এরপর মমতা বলেন, “দেশের নেতা সে-ই হতে পারে, যে দেশকে বোঝে। যারা দেশকে ভাগ করতে চায়, তারা নয়।”
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এতদিনে রাজ্য সরকার প্রায় ২৪ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারকে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য থেকে ফিরিয়ে এনেছে। তুলনা টেনে তিনি বলেন, “বাংলায় কিন্তু দেড় কোটি বাইরের রাজ্যের মানুষ কাজ করছেন। তাঁদের আমরা অসম্মান করি না। সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা।”
বাংলার ঐতিহাসিক ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা বাংলাকে ঘৃণা করে। কারণ, বাংলাকে ছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলন সম্ভব ছিল না। কলকাতা তখন ভারতের রাজধানী ছিল। ব্রিটিশরা আমাদের মোকাবিলা করতে না পেরে রাজধানী দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যায়। আমরা মাথা নত করব না।”
নিজেকে নিয়ে কটাক্ষের প্রসঙ্গেও মমতা বলেন, “আমি প্রতিদিনই অপমানিত হই, কারণ আমি বাংলার মানুষ। তা আমাকে করতে হয়। কারণ আমি না থাকলে চোরেরা সব লুটে নেবে। বাংলাকে আরেকটা গুজরাত বানিয়ে ফেলবে।”
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us