Advertisment

কিশোরীকে আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচালো কচুরিপানা!

পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, রবিবার রাতে পড়াশোনা নিয়ে মা বাবার সঙ্গে মান অভিমানের পালা চলে একাদশ শ্রেণীর এই ছাত্রীর। এরপরই সোমবার ভোরে হালিশহরের শ্যামবাবু ঘাটে গিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় সে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কচুরিপানায় জীবন রক্ষা ছাত্রীর। (প্রতীকী ছবি)

রাখে কচুরিপানা, মারে কে! আত্মহত্যা করতে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েও কচুরিপানার দৌলতে প্রাণ বাঁচল হালিশহরের এক ছাত্রীর। সিনেমার দৃশ্যের মতো কল্পনায় এই দৃশ্য ভেসে উঠলেও, আদতে যা হয়েছে তা বাস্তবেরই একটি দৃশ্য। অভিমানের জেরে গঙ্গায় আত্মহত্যা করতে গিয়ে কচুরিপানার ঝাড়ে আটকে অবশেষে প্রাণ বাঁচল একাদশ শ্রেনীর ছাত্রীর। প্রায় আড়াই ঘন্টা অচৈতন্য অবস্থায় থাকার পর চন্দননগর রানীঘাটে দেহ উদ্ধার করেন মাঝিরা। পরে তাকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হলে সেখানেই জ্ঞান ফেরে তার।

Advertisment

আরও পড়ুন- সাত বছর কোথায় ছিলেন দময়ন্তী সেন?

ঠিক কী হয়েছিল?

পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, রবিবার রাতে পড়াশোনা নিয়ে মা বাবার সঙ্গে মান অভিমানের পালা চলে একাদশ শ্রেণীর এই ছাত্রীর। এরপরই সোমবার ভোরে হালিশহরের শ্যামবাবু ঘাটে গিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় সে। কিন্তু ভাগ্য চক্রে রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে একটি কচুরিপানার ঝাঁক। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাঁতার  জানলেও কচুরিপানাকে আঁকড়ে ধরে জোয়ারের টানে চন্দননগরের দিকে চলে আসে এই ছাত্রী। চন্দননগর আর জগদ্দল ঘাটের মাঝামাঝি জায়গায় ছাত্রীর দেহটি উদ্ধার করেন মাঝিরা। সেখান থেকে ছাত্রীর দেহটি রানীঘাটে তোলা হলে দেখা যায় সে জীবিত।

আরও পড়ুন- ‘পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে থাকতে চাই’, বললেন ইমরানের দলের প্রাক্তন বিধায়ক

এরপর স্থানীয়রাই তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসকদের তৎপরতায় জ্ঞান ফেরে একাদশ শ্রেণীর এই ছাত্রীটির। ছাত্রীটির খোঁজ খবর নিয়ে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হাসপাতালে ছুটে আসেন ছাত্রীটির মা -বাবা। সামান্য বকুনির কারণে যে মেয়ে এত বড় কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে তা ভেবেই শিউরে উঠছে ছাত্রীর পরিবার।

West Bengal
Advertisment