Advertisment

কলকাতায় চালু ওয়াটার ট্যাক্সি, যাবে চন্দননগর পর্যন্ত

"গাড়ি ভাড়া করে কলকাতা যাওয়া একদিকে ব্যয়সাধ্য, পাশাপাশি সময়ও লাগছিল। এর ফলে সুবিধা হবে। কম সময়ে আরামদায়কভাবে যাতায়ত করা যাবে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আনলক টুতে লোকাল ট্রেন বন্ধ, বেসরকারি বাস চলাচলও অনিয়মিত, কিন্তু তাতে কী হয়েছে ওয়াটার ট্যাক্সি আছে তো। কী ভাবছেন, ভেনিস বা লন্ডনের কথা হচ্ছে? আজ্ঞে না, এই বাংলাতেই বুধবার থেকে চালু হল ওয়াটার ট্যাক্সি। ফলে জলপথই এখন ভরসা যাত্রীদের। হুগলির চন্দননগরে গঙ্গার ফেরিঘাট থেকে ওয়াটার ট্যাক্সি ‘অল্প সময়ে’ পৌঁছে দিচ্ছে কলকাতার মিলেমিনিয়াম জেটিতে। বাড়তি পাওনা বলতে ট্রাফিক জ্যামহীন যাত্রাপথ, আর গঙ্গায় অন্যরকম নৌবিহারের মনোরম অভিজ্ঞতা তো আছেই। সম্পূর্ণ যাত্রাপথ ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের। মাঝে শুধু শেওড়াফুলির নিমাইতার্থ ঘাটে স্টপেজ। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন যাত্রীরা।

Advertisment

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াটার ট্যাক্সির যাত্রা শুরু করান চন্দননগর কর্পোরেশনের পুর কমিশনার। আপাতত শেওড়াফুলির নিমাই তীর্থ ঘাট হয়ে সোজা কলকাতার মিলেনিয়াম ঘাট পর্যন্ত যাবে এই ওয়াটার ট্যাক্সি। জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে যাত্রাপথে আরও নানা ঘাটে স্টপেজ দেবে এই ট্যাক্সি। সেক্ষেত্রে যাত্রীরাও ওঠানামা করবেন। এখন একদিকের ভাড়া ৩২০ টাকা হলেও পরে ৫০০ টাকার মধ্যে যাতায়াত করার ব্যবস্থা হচ্ছে দ্রুত‌। টিকিট মিলছে অনলাইনে। এই জলযান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যাত্রী নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্য়াকেট সহ অন্য়ান্য় অত্য়াধুনিক ব্য়বস্থাও থাকছে।

আরও পড়ুন- অমিত শাহর ফোন, দিলীপ ঘোষের বাড়ির মালিককে ‘হুমকি’, নিরাপত্তারক্ষীদের ‘ধাক্কাধাক্কি’!

বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত চুঁচুড়ার বাসিন্দা দীপঙ্কর চক্রবর্তী। এদিন তিনি এই জলযানে কলকাতা রওনা দেন। তিনি বলেন, "লকডাউনে কলকাতা যাতায়াত করায় খুব সমস্যা হচ্ছিল। আনলক চালু হলেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি। গাড়ি ভাড়া করে কলকাতা যাওয়া একদিকে ব্যয়সাধ্য, পাশাপাশি সময়ও লাগছিল। এর ফলে সুবিধা হবে। কম সময়ে আরামদায়কভাবে যাতায়ত করা যাবে।" আরেক যাত্রী তুহিন সাহা বলেন, "ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কলকাতা যাচ্ছি। সাধারণ যাত্রীদের ট্রেনে যাওয়ার উপায় নেই। গাড়ি বুক করতে গেলে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা লাগত। এটাতে তার থেকে কম খরচে যাতায়াত করতে পারছি। গতকাল রাত ১২টায় অনলাইনে টিকিট বুক করেছি। অনেকে গাড়ি ভাড়া করে কলকাতা যাতায়াত করছেন। তাদের এতে সুবিধা হবে।" যাত্রীরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কারেও অনড় বাসমালিকরা

ভেসেল কর্তৃপক্ষের আশা বেশ ভালই সাড়া ফেলবে এই পরিষেবা। এখানে এরপর আরও এরকম ৬টি ভেসেল চলবে। সংস্থার এক কর্তা বলেন, "এই যানের যা গতিবেগ তার থেকে অর্ধেক গতিবেগে নিয়ে কলকাতা যাচ্ছে তাতেও আমরা ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাব। এই জলযান ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারে। আমরা নিয়ে যাচ্ছি ২০ কিলোমিটার গতিবেগে। সকাল ৮টায় চন্দননগর থেকে ছাড়া হবে, আর ৯টা ৪৫ মিনিটে কলকাতা পৌঁছে যাব। শেওড়াফুলিতে সাড়ে আটটায় স্টপেজ। চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুরের যাত্রীরাও অনায়াসে দুই জায়গা থেকেই উঠতে পারবেন। কলকাতার মিলেনিয়াম ঘাট থেকে বিকাল ৪টেয় ছাড়বে, আবার পৌনে ৬টায় পৌঁছে যাব চন্দননগর। অনেকে বলছেন পাঁচটায় ছাড়লে ভাল হয়।"

জানা গিয়েছে, হাইস্পিড বলে স্ট্যান্ডিং করা যায় না। তাছাড়া সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এই ওয়াটার ট্যাক্সিতে। এখন শেওড়াফুলি থেকে ভাড়া ২৫০ টাকা হলেও পরে ২০০টাকা হয়ে যাবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kolkata public transport state transport
Advertisment