চন্দননগরে উড়ল লাল আবির। পুরনিগমের আরও একটি ওয়ার্ড বামেদের দখলে এল। ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চন্দননগর পুরনিগমের ৩২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই সময় একমাত্র ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন বাম প্রার্থী অভিজিৎ সেন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন দাখিলের পরে মৃত্যু হয় বিজেপি প্রার্থী গোকুলচন্দ্র পালের। যে কারণে ওই ভোট স্থগিত হয়ে যায়।
গত ২৬ তারিখে হয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন। ২৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৩ শতাংশ মানুষ ভোট দান করেন। আজ ফল ঘোষণার পর দেখা যায় ১৩০ ভোটে জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। চন্দননগরে বরাবরই সিপিএম সংযুক্ত নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে লড়াই করে।
কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বাম প্রার্থীর এই জয় মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চন্দননগর পুরনিগম আগেই দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩১ টি ওয়ার্ড তাদের দখলে। মেয়রও তাদের। এরপরে একটিমাত্র ওয়ার্ডে নির্বাচন হলে সেখানে তৃণমূল প্রার্থীর এই পরাজয় কী কারণে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
আরও পড়ুন ঝালদায় জয়ী তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন, পানিহাটিতে জিতলেন অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী
তারপরেও এই হার তৃণমূলকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে। এখানে মূল লড়াই ছিল তৃণমূল বনাম বাম প্রার্থীর। চন্দননগর পুরভোটে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে খুব অল্প ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল বামপন্থীদের। অশোক গঙ্গোপাধ্য়ায়ের জয় সিপিএমকে চন্দননগরে বাড়তি অক্সিজেন দেবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
জয়ের পর সিপিএম প্রার্থী অশোকবাবু বলেন, “অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই জয়। ৩২ বছর পর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় এল বামেদের। এই জয় আমি উৎসর্গ করেছি করোনা কালে প্রয়াত বাম কর্মীদের উদ্দেশ্যে। কোনও দলের কাউন্সিলর নই, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সকল মানুষের কাউন্সিলর হিসাবে কাজ করতে চাই।”
আরও পড়ুন ‘নৃশংস হত্যা, কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না’, উদয়পুর কাণ্ডে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মমতা
বামেদের কাছে তৃণমূলের পরাজয় নিয়ে চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি কংগ্রেস একসঙ্গে হয়ে সিপিএমকে ভোট দিয়েছে। এই সময় দাঁড়িয়ে হারা নিঃসন্দেহে শুভ নয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পছন্দ না হওয়া একটা কারণ হতে পারে। হারের কারণ পর্যালোচনা করা হবে।”