Advertisment

'মাস্টারস্ট্রোক' মমতা সরকারের, ১০০ দিনের কাজে নথিভুক্তদের জন্য বিরাট উদ্যোগ

এরাজ্যে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে গ্রামাঞ্চলগুলিতে ক্রমেই বাড়ছিল ক্ষোভ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
wb govt decided to use 100 days project's worker as unskilled labour

১০০ দিনের কাজে নথিভুক্তদের জন্য অনন্য উদ্যোগ রাজ্যের।

১০০ দিনের কাজে নথিভুক্তদের এবার রাজ্যের সরকারি দফতরগুলিতে কাজে লাগানোর বন্দোবস্ত পাকা করে ফেলল পশ্চিমবঙ্গ সকার। নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে নথিভুক্তদের বিভিন্ন সরকারি দফতরে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে।

Advertisment

এরাজ্যে বন্ধ রয়েছে ১০০ দিনের কাজ। কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যকে ১০০দিনের প্রকল্পে সাহায্য দিচ্ছে না, বলেই এই কাজ বাংলার গ্রামাঞ্চলে বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামাঞ্চলগুলিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না বলেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালানো যাচ্ছে না, বারবার এই অভিযোগ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকী ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে একাধিকবার চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেও সমস্যার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তবুও সুরাহা মেলেনি। রাজ্যের অভিযোগ, মোদী সরকারের ক্রগাগত অসহযোগিতার জন্য বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। মমতা সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে বঙ্গের পদ্ম শিবির। পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকেও নালিশ ঢুকেছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। রাজ্য বিজেপির সেই নালিশ পেয়ে কিনা জানা নেই, তবে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেওয়া কার্যত বন্ধ করেছে মোদি সরকার। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন- ডেকে পাঠিয়েও নোটিশ প্রত্যাহার, মমতার পুলিশকে ধুয়ে দিয়ে এ কী বলে বসলেন শুভেন্দু?

তবে এবার ১০০ দিনের কাজে নথিভুক্তদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রশিক্ষণহীন কর্মী হিসেবে এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে কাজে লাগানো হবে ১০০ দিনের কাজে তালিকাভুক্তদের। কোন দফতরে কতজন কর্মীকে কাজে লাগানো হবে তা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসারদের দেওয়া হয়েছে।

স্বভাবতই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত ভোট ময়দানে শাসকদল নেতৃত্বাধীন সরকারের 'মাস্টারস্ট্রোক' হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। মূলত রাজ্যের গ্রামাঞ্চলেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চলে। এই গ্রামেই পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে।

আরও পড়ুন- পদ্মে পা বাড়াচ্ছেন তৃণমূলের এই দাপুটে বিধায়ক? পোস্টার ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

তার আগে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় রাজ্যের গ্রামাঞ্চলগুলিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল। তবে ১১০ দিনের কাজে তালিকাভুক্তদের জন্য রাজ্যের এই বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ সেই ক্ষতে খানিকটা হলেও প্রলেপ দিতে পারবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Mamata Banerjee Nabanna West Bengal Modi Government
Advertisment