ঝালদা নিয়ে জট জারি। এবার ঝালদা পুরসভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। পূর্ণিমা কান্দুকে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল রাজ্য সরকার। এরই পাশাপাশি সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ রাজ্যের। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আগামিকাল এই মামলার শুনানি শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে জট যেন কাটছেই না। উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দু'টি নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথমত, তিনি শীলা চট্টোপাধ্যায়ের চেয়ারম্যান পদ খারিজের নোটিসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন।
একইসঙ্গে সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে বসানোর নির্দেশেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। তিনি জানিয়েছিলেন, যতদিন পর্যন্ত এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া হয় ততদিন পূর্ণিমা কান্দুই ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান থাকবেন। এই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- ‘সীমা পেরোলে অভিষেকের সঙ্গে কথোপকথন ফাঁস করব’, হিরণকে হুঁশিয়ারি অজিত মাইতির
উল্লেখ্য, শীলা চট্টোপাধ্যায় যেদিন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন, ঠিক তার দু'দিন পরেই তাঁর প্রার্থীপদ খারিজের নোটিস জারি করেন ঝালদার মহকুমাশাসক। রাজ্য সরকারের তরফে এই পদক্ষেপের পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, তপন কান্দু নিহত হওয়ার পর থেকে গত এক বছর ধরে রাজ্য রাজনীতির জোর চর্চায় রয়েছে ঝালদা। পুরভোট মেটার পরেও দীর্ঘদিন ধরে ঝালদার চেয়ারম্যান কে হবে তা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পূর্ণিমা কান্দু। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। আগামিকাল সেই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- আজ বীরভূমে মমতা, ‘নামগন্ধ’ই নেই কেষ্টর! পাকাপাকিভাবে ছাঁটার পালা আজই শুরু?