আস্থা ভোটে হেরেও ঝালদা পুরসভার রাশ হাতে রাখল তৃণমূল। শনিবারই ঝালদায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে পুরবোর্ড গঠনের কথা ছিল। তার আগে শুক্রবার রাতেই ঝালদায় প্রশাসক হিসেবে এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেই নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে বেআআনি ও অনৈতিক বলে মন্তব্য করে বোর্ড গঠনে অনড় কংগ্রেস। প্রয়োজনে আবারও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি হাত-শিবিরের।
চূড়ান্ত নাটক ঝালদা পুরসভায়। শুক্রবার রাতে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার প্রশাসক পদে তৃণমূলের কাউন্সিলর জবা মাছয়াকে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। তবে আজই ঝালদায় বোর্ড গঠন করার কথা ছিল কংগ্রেসের। পুর আইনের ১৭ (৪) ধারা মেনে এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঝালদা পুরসভার প্রশাসক করেছে রাজ্য। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফে নিয়োগ-প্রাপ্ত এই প্রশাসক এক মাসের জন্য নোটিশ জারি করতে দিতে পারেন। সেই নোটিশ জারি হলে এক মাসের মধ্যে আবারও আস্থা ভোট ডাকা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ‘শুভেন্দুর সভা ভেস্তে দিতে বাধার পর বাধা’, তৃণমূলকে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার চরম বার্তা
উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভায় দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। যদিও পরে গত ২১ নভেম্বরে আস্থা ভোটে বোর্ড যায় কংগ্রেসের হাতে। নির্দলদের সমর্থন পেয়েই পুরবোর্ড তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় কংগ্রেস। তবে পুরবোর্ড ছিনিয়ে নিতে তৃণমূল নানা কৌশল নিতে পারে বলে শুরু থেকেই বলে চলেছিলেন কংগ্রেসের নেতারা। শনিবারই ঝালদায় পুরবোর্ড গঠনের কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু তার আগে শুক্রবার রাতেই পুরবোর্ডের মাথায় প্রশাসক হিসেবে তৃণমূল কাউন্সিলরকেই নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- অভিষেকের সভার আগের রাতে বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, ঝলসে মৃত নেতা-সহ ৩
ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ, ''যে কোনও মূল্যে ঝালদা পুরবোর্ড হাতে রাখতে চায় তৃণমূল। তবে ওঁদের সেই অপচেষ্টা সফল হবে না।'' এদিকে, ঝালদায় রাজ্য প্রশাসনের এই তৎপরতার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রসের সভাপতি নেপাল মাহাতো জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ঝালদা পুরসভার এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।