রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুমন্তব্যে এযেন বিলম্বিত বোধোদয় রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির। তাঁর মন্তব্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সাংবাদিক সম্মেলন করে ৫ দিন আগেই দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু অখিল গিরি এতদিন অনুতাপ প্রকাশেই ক্ষান্ত ছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুঃখপ্রকাশের ৫ দিন পর অখিল গিরি বললেন, 'আমি লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী'।
রজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আক্রমণ করে বসেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। দলের সভায় রাষ্ট্রপতির রূপ নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় অখিল গিরিকে। পূর্ব মেদীনিপুরের রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। বিষয়টির জল গড়ায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পর্যন্ত।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অখিল গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে চিঠি দেয়। অখিল গিরিকে বরখাস্তের দাবিতে সোচ্চার হন বিজেপির একাধিক নেতা-সাংসদ। দিল্লির থানায় অখিল গিরির নামে এফআইআর দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ফের মোদীর দরবারে মমতা, কী নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা??
বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে দেখে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয় অখিলকে। ভিডিও প্রকাশ করে নিজের মন্তব্যের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করতে দেখা যায় অখিল গিরিকে। এরপর গত ১৪ নভেম্বর অখিল গিরির মন্তব্যের পরিপ্রকেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন বলেছিলেন, ''মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। তাঁর সম্পর্কে অখিলের এই মন্তব্য করাটা ঠিক হয়নি। অখিল গিরি অন্যায় করেছেন । তাঁর মন্তব্য কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।''
মুখ্যমন্ত্রীর অখিল গিরির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই বক্ত্যের ৫ দিন পর ক্ষমা চাইলেন অখিল গিরি। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী নিজে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আমার হয়ে উনি ক্ষমা চাইলেন। আমি লজ্জিত। ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রপতিকে কিছু বলিনি। রাগের বশে এই কথাটা বেরিয়ে এসেছে। আমি অনুতপ্ত এবং আমি ক্ষমাপ্রার্থী।''