এবার পুলিশকে নজিরবিহীন হুঁশিয়ারি খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর। থানার 'বড়বাবু'কে থানাতেই আটকে রাখার হুমকি রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে একটি সভায় পুলিশকে চরম হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই সদস্যের। ঠিক এমনই হুঁশিয়ারি দিন কয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল তৃমমূল বিধায়ক মদন মিত্রের মুখেও। তিনিও বামেদের হুমকি দিতে গিয়ে পুলিশকেও তুলোধনা করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাধীন মেমারির এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দন্দ্ব বেড়েই চলেছে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দাবি, পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে মদত দিচ্ছে। মেমারিরই এটি সভা থেকে এরপর পুলিশকে নজিরবিহীন শাসানি রাজ্যের মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন- সাতসকালে তুমুল চাঞ্চল্য, ডিএ ধর্না-মঞ্চ বোমা মেরে ওড়ানোর ‘হুমকি’
ঠিক কী বলেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?
সিদ্দিকুলা বলেন, 'পুলিশকে বুঝতে হবে কারা অফিসিয়াল দল। পুলিশ ভাবছে উনিও দল ইনিও দল, পুলিশ নাবালক নাকি! পুলিশকে সাবালক হতে হবে। পুলিশ ঠিক করবে? ইয়ার্কির জায়গা? পুলিশ ঠিক করতে চায় দিদির পোশাক পরুক আর ঝান্ডা ধরুক। এসপি আমার গুরুদেব নয়। এসপির ভয় দেখাচ্ছে, এসডিপিও-র ভয় দেখাচ্ছে। আমায় ছেলেমানুষ পেয়েছো নাকি! পুলিশকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি। থানার সামনে আমার মানুষ প্রতিবাদ করবে। থানা থেকে বেরোতে দেব না বড়বাবুকে।'
আরও পড়ুন- সপ্তাহের শুরুতেও ভোগান্তির শেষ নেই, একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল শিয়ালদহ ডিভিশনে
দিন কয়েক আগে ঠিক এমনই হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের মুখেও। তিনিও পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, 'ব্যারাকপুর পুলিশ জেনে রাখুন বাংলা আমরা চালাই। সিপিএম-বিজেপিকে বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। পুলিশের মধ্যে চর রয়েছে। বিজেপি বাজার গরম করলে ঠান্ডা করার মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করবে তৃণমূল।’