২০১৪-এর প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগে জট আরও গভীরে, কী পদক্ষেপ করল পর্ষদ?

হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
টানা ৪ দিনের 'লড়াই' এক ঝটকায় 'শেষ', ১৫ মিনিটেই করুণাময়ীর ধর্না তুলল পুলিশ

২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের শূন্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ল।

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নিয়োগ নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর আগে প্রাথমিকে ৩,৯২৯ শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সেই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর। যদিও তার আগেই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন পর্ষদের।

Advertisment

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা নেওয়ার পর দুটি পর্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। দ্বিতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়াটি হয়েছে ২০২০ সালে। ওই বছরে সাড়ে ১৬ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। যদিও আরও শূন্যপদ ছিল বলে দাবি তোলেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। আরাও শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ বন্ধ রেখেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এই অভিযোগ করে এবং শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি উঠলে দেখা যায় এখনও ৩,৯২৯টি শূন্য পদ রয়েছে। সেই শূন্য পদ গুলিতেই নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

আরও পড়ুন- রাস উৎসবের দিনেই শ্রীচৈতণ্যের জেলায় মমতা, ৩ দিনের নদিয়া সফরে ঠাসা কর্মসূচি

Advertisment

২০১৪-এর টেটর ভিত্তিতে দুবার নিয়োগ হয়েছে। প্রথম নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। প্রথম পর্বে ৪২ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। এরপর ২০২০-তে ফের একবার সাড়ে ১৬ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে এর পরেও আরও কয়েকহাজার শূন্য পদ রয়েছে বলে দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

তাঁরাই কলকাতা হাইককোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বাকি শূন্য পদগুলিতে নিয়োগ কেন হল না তা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েও সদুত্তর পাননি। শেষমেশ তিনি বাকি ৩ হাজার ৯২৯ শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্টের এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১১ নভেম্বর। যদিও তার আগেই এবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Primary Teacher Recruitment TET highcourt