প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির ভুরি-ভুরি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির শিকড় খুঁজে বের করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সিবিআই। তবে এবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার মামলার শুনানি হতে পারে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগে পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরপরই রাজ্যে প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ইতিমধ্যেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পাওয়ায় ২৬৯ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
শুধু তাই নয়, বেনিয়মে সরকারি যোগ থাকার অভিযোগে প্রাথমিক বোর্ডের সভাপতি ও সেক্রেটারিকেও সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘টাকা নেই, টাকা দাও’, তৃণমূলের দিল্লি দরবার
২০১৬ সালে টেট পরীক্ষার পর প্রথম প্যানেল প্রকাশিত হয়। তারপর ফের দ্বিতীয় আরও একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড জানায় পরীক্ষায় একটি ভুল প্রশ্ন থাকায় ১ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযোগ, টেটের লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র ২৬৯ জনের ক্ষেত্রেই ১ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গের দুয়ারে বর্ষা, আজ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা একাধিক জেলায়
এই বিষয়টি নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দুই শীর্ষ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের দাবি, এক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়নি। এই দাবি নিয়েই এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।