আবারও শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে জামিনের আবেদন পার্থ-অর্পিতার, তবে আজও তাঁদের সেই আর্জিতে কান পাতল না ব্যাঙ্কশাল আদালত। ফের একমাসের জন্য দু'জনকেই জেলে পাঠালেন বিচারক। শুধু পার্থ-অর্পিতাই নন, আজ ফের এক দফায় জেলে ঠাঁই হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যেরও।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে টানা কয়েক মাস ধরে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এর আগেও একাধিকবার শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে জামিনের আবেদন করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তিনি 'গৃহবন্দি' থাকতেও রাজি রয়েছেন বলে তাঁর আইনজীবী বিচারককে জানিয়েছিলেন। তবে বারবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন বিচারকরা।
শনিবার ফের একবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডির দায়ের করা মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে শুনানি হয়। ভার্চুয়ালি সেই শুনানিতে হাজির ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বিচারকের কাছে জামিনের আর্জি জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, জেলে তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না। দিন যত যাচ্ছে তাঁর শরীর ততই খারাপ হচ্ছে। উল্টোদিকে, জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ-বান্ধবী অর্পিতাও। জেলে তাঁর প্রয়োজনীয় ওষুধ মিলছে না বলে জানিয়েছেন অর্পিতা।
আরও পড়ুন- আবারও রাজ্যের প্রকল্পের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি, দিল্লিতে সম্মানিত বাংলার ‘দুয়ারে সরকার’
তিনিও শারীরিক পরিস্থিতির 'দোহাই' দিয়েই এদিন জামিনের আবেদন করেছেন। তবে বিচারক তাঁদের সেই আবেদনে সাড়া দেননি। বরং দু'জনকেই আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, পার্থ-অর্পিতার মতোই আজ ফের এক দফায় জেল-যাত্রা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম প্রধান 'চাঁই' মানিক ভট্টাচার্যেরও। পার্থ-অর্পিতার মতো আগামী এক মাসের জন্য মানিক ভট্টাচার্যেরও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- ‘শুভেন্দুই বিরোধীশূন্য করতে বলতেন’, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন তৃণমূল বিধায়ক!
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। পরে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে টাকার পাহাড় উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডির দাবি, সরকারি চাকরি 'বিক্রি' করেই অর্পিতার বাড়িতে কোটি-কোটি টাকা মজুত করা হয়েছিল। এরপরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাতার্যকেও গ্রেফতার করা হয়।