WB SSC Scam: গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আবারও নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা পরীক্ষা দিতে রাজি নন। বুধবার ফের একবার নিজেদের পুরনো দাবিতেই অনড় রইলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আবারও রাজ্য সরকারের হাতেই নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব ছাড়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা শোনা যায় চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখে।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, "আমরা চাইছি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক আমাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুন। কারণ আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। ১৫,৪০৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা যতদিন বেঁচে থাকবে কোনওদিন বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতা মানতে পারবে না। ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিলেও মানতে পারব না। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন। আমরা সব সাংসদ, বিধায়ককে চিঠি লিখছি। আমরা চাই সংসদের অধিবেশনে আমাদের অন্যায়ের বিষয়টি তোলা হোক।"
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ৩০ মে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। সেই প্রসঙ্গে ওই চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, "বিজ্ঞপ্তির মধ্যেও জটিলতা আছে। এটা নিয়েও কেস হবে। ওবিসি মামলা নিয়েও জটিলতা আছে। উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যা যা ফরমান জারি করেছেন, ওনার বক্তব্যের মধ্যেও অনেক অসঙ্গতি আছে। পরীক্ষা উনি নিতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। কারণ এটাও একটা নাটক। আমরা অবশ্যাই আন্দোলনের দিকে যাব। কোর্টের কাছে সব তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আমরা ন্যায় পায়নি। বিচারকের কাজ অসহায়,বঞ্চিতদের পাশে থাকা। দু'জন বিচারক সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। একটা দুর্নীতিপরায়ন প্রতিষ্ঠানের হাতে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে দিলেন। যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাদেরকেই শাস্তি দিল। কোর্ট কার পক্ষে কাজ করল? সরকারের কেউ শাস্তি পেল? CBI তো রিপোর্ট দিয়েছিল, যে দুর্নীতি হয়েছে। যারা দুর্নীতি করেছে তারা কেন শাস্তি পেল না?"
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল-কাণ্ড, কলকাতার নাকের ডগায় থানা ঘেরাও, রোষের মুখে তৃণমূল বিধায়ক
উল্লেখ্য গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন "সরকার চালাতে গেলে সবাইকেই আইন মেনে চলতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো কিছু করলে কোর্ট অন্যভাবে নিতে পারে। আমরা রিভিউ পিটিশন করেছি। সুপ্রিম কোর্টে এখন গরমের ছুটি চলছে। সঠিক সময়েই রিভিউ পিটিশন করেছে রাজ্য। সেই আবেদনে কারও চাকরি যাওয়ার কথা বলা হয়নি। আমাদের একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৩১ মে পর্যন্ত আমাদের সময় বেঁধে দিয়েছে। যারা চাকরি করছেন তাদের চাকরি থাকার কথা বলা হয়েছে। আমরা চাই প্রত্যেকে চাকরি ফিরে পাক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সবটাই রেডি রাখব। কোর্ট বললে আপনাদের পরীক্ষা দিতে হবে না।"
আরও পড়ুন- Murshidabad News: সূত্রের খবরে এলাকা ঘিরে হানা, বড়সড় গ্রেফতারি