High Alert in Digha: নিম্নচাপ এবং ভরা কোটালের জোড়া ফলায় রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আগামী বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সেই মতো মঙ্গলবারও সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলল বৃষ্টিপাত। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটন শহর দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর সৈকতে সমুদ্র স্নানে নামতে পারলেন না পর্যটকরা।
অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন সমুদ্রের জলস্তর ছিল অনেকটাই উঁচুতে। ফলে প্রশাসনের তরফ থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের নামতে দেওয়া হয়নি সমুদ্র স্নানে। গতবছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক নদী বাঁধ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। চলতি বছরে দুর্যোগ পরিস্থিতিতে যাতে সাধারণ জনজীবনে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য প্রশাসনিক মহলেও শুরু হয়েছে তৎপরতা।
ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। যার নম্বর হল ০৩২২৮- ২৬২৭২৯৮। উপকূলের যে যে ব্লক গুলিতে নদী বাঁধে নড়বড়ে রয়েছে সে সমস্ত এলাকায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ। মহিষাদল ব্লকের অতৃতবেড়িয়াতেও সেচ দপ্তরের উদ্যোগে চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ।
ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলায় বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। মঙ্গলবার রামনগর- ১, সুতাহাটা, নন্দীগ্রাম- ১, খেজুরি, মহিষাদলসহ বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে প্রশাসনিক কর্তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় আলোচনা করেন। এছাড়াও উত্তাল সমুদ্রে যাতে পর্যটকরা নামতে না পারেন সেজন্য সকাল থেকে চলে মাইকিং। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমেও চলে নজরদারি।
বর্তমানে দিঘা পর্যটকে পরিপূর্ণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তাল সমুদ্রে যাতে নামতে না পারেন সেজন্য সমুদ্র পাড়েই প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের সতর্ক করা হয়। এদিন গার্ডওয়াল টোপকে জল পাড়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। পরে ভাটার সময় অবশ্য পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “আমরা সমস্ত ব্লকের বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেছি। সমস্ত নিচু জায়গা গুলিতে যদি জল প্রবেশ করতে শুরু করে সেখানে তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে।”