দিল্লিতে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যেও সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগী হয়েছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু পরবর্তীতে অনেকটা স্তিমিত হয়েছিল সেই প্রয়াস। ফের এ রাজ্যে দফতর খুলে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে কেজরিওয়ালের দল। সিপিআইএম ও তৃণমূলকে প্রায় একই সরলরেখায় রাখছেন আপের পশ্চিমবঙ্গের প্রধান মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র। দিল্লি মডেলই তাঁদের প্রধান হাতিয়ার। তাঁর কথায়, 'জনগণ যেদিন ঠিক করে নেবে যেদিন দুর্নীতি মুক্ত বাংলা গড়ব, আর পারছি না- তখন তাঁরা উপড়ে ফেলে দেবে।' ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার মুখোমুখি হয়ে কী বললেন অর্ণব?
প্রশ্ন- বাংলায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা কেমন?
অর্ণব- আম আদমি পার্টি একটা নতুন দল। ১০ বছর হয়েছে। খুব ছোট্ট একটা দল। তার মধ্যে যেখানে যেখানে মানুষ চাইছে আপ আসুক সেখানে সেখানে সংগঠন বিস্তার করছি। পশ্চিমবঙ্গ তার বাইরে না। গুজরাটেও দেখবেন মানুষ আপকে চেয়েছে। এ রাজ্যেও ভালভাবে চলছে সংগঠন।
প্রশ্ন- সমস্ত কমিটি গঠন হয়েছে?
অর্ণব- প্রত্যেকটা জেলায় কমিটি তৈরি হয়েছে। ব্লকে ব্লকেও কমিটি তৈরি হচ্ছে। রাজ্য কমিটিও একটা আছে। আলাদা করে পোস্টের ডেজিগনেশন নেই, তবে কমিটি আছে। রাজ্য কমিটি শীঘ্রই দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন- গ্রামকে কেন্দ্র করেই সংগঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল আপ। পঞ্চায়েতে প্রস্তুতি…..
অর্ণব- এখন আমরা পঞ্চায়েত নিয়ে ভাবছি না। যদি জণগন চায় তাহলে লড়ব নাহলে লড়ব না। আমাদের বক্তব্য পরিস্কার। আমাদের গ্রহণ করলে লড়াই করব।
প্রশ্ন- এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের আশঙ্কা রয়েছে?
অর্ণব- পশ্চিমবাংলায় রাজনীতি করাটা খুব মুশকিল। কারণ এরাজ্যে যে কোনও বাড়িতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের রাজনীতিতে পাঠানোর কথা বললে অভিভাবকরা পরিস্কার না বলে দেবে। কেন না বলবে… এখানে রাজনীতিতে খুন হতে হয়। আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুন হয়। গণতন্ত্রের উৎসবের দিনে কোনও মা সন্তানহারা হতে পারে, কোনও স্ত্রী বিধবা হতে পারে, কোনও বাচ্চা অনাথ হতে পারে এটা পশ্চিমবঙ্গকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। তাহলে এই সন্ত্রাসের রাজনীতি, বিরোধীশূন্য করে দেব। কেন? পঞ্চায়েত হচ্ছে দুর্নীতির আসল জায়গা। দুর্নীতিটা এই পঞ্চায়েত থেকে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত দখলের জন্য মানুষকে মেরে ফেলতেও পিছপা হচ্ছি না, এটা ভয়ঙ্কর পশ্চিমবঙ্গের এই মুহূর্তের অবস্থা।
প্রশ্ন- সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপ কিভাবে লড়াই করবে?
অর্ণব- আপের লড়াই করার একটা ফিক্সড প্যাটার্ণ আছে। মানুষের কাছে বলব, আমরা কী বলেছিলাম কী করেছি। এবং মানুষ বেছে নিলে আগামী দিনে আমরা কি করব। আমরা আমাদের কথা বলতে বেশি পছন্দ করি। আমরা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে নেই। আমরা শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। দেশে সাড়ে ১০ লক্ষ সরকারি স্কুল আছে। সরকারি স্কুলগুলিকে বিশ্বমানের করতে চাই। আমরা চাই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি উন্নত করতে। মাত্র ৬ মাস ক্ষমতায় এসে পঞ্জাবের মহল্লা ক্লিনিকের গুণমান দেখুন আর এখানকার হাসপাতালের গুণমান দেখুন। বিরোধীশূন্য ভোট কেন করতে হচ্ছে? অরবিন্দ কেজরিওয়াল একমাত্র দেশের নেতা যিনি বলছেন কাজ না করলে ভোট দেবেন না।
প্রশ্ন- আপনাদের দিল্লি মডেল তুলে ধরতে চাইছেন এখানে?
অর্ণব- এত কাজ করেছে বলে শেষ করতে পারব না। দিল্লি সরকারের যে কোনও সরকারি স্কুলে গেলে দেখা যাবে আমাদের এখানে যে সমস্ত প্রাইভেট স্কুল তার থেকেও উন্নতমানের স্কুল তৈরি হয়েছে। এরাজ্যের প্রাইভেট হাসপাতালগুলিকে টেক্কা দেবে দিল্লির সরকারি হাসপাতাল। বিনামূল্যে চিকিৎসা হচ্ছে। গরীব মানুষ এখানে প্রাইভেটে না পড়াতে পারবে, না চিকিৎসা করাতে পারবে। টাকা নেই মানে জীবনের দাম নেই। যাঁরা ক্ষমতায় আছে তাঁরা সরকারি স্কুলগুলিকে ভাল করছে না কেন? আমরা ক্ষমতায় আছি আমরা করে দেখিয়েছি। আমাদের জিজ্ঞাসা করলে আমরা বলে দেব কি করে করতে হয়। করার জন্য যে সৎ উদ্দেশ্যটা চাই সেই ইচ্ছাটাই দেখাচ্ছে না।
প্রশ্ন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এখানে সরকার হইচই করছে?
অর্ণব- যদি আমাদের রাজ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেব তাহলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দরকার কি আছে। আমি ঢং করে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা নেওয়াব কেন। দরজা খুলে দিচ্ছি যেখানে যাবে সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা হবে। প্রাইভেট হাসপাতাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে আমাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
প্রশ্ন- অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্য রাজনীতিবিদদের থেকে ব্যতিক্রম কেন?
অর্ণব- আমি একটা জিনিসে বিশ্বাস করি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল যা যা বলেন তা তা করে দেখান। আপনি চ্যালেঞ্জ করে বলুন এটা আপনি বলেছিলেন করেননি। এটা পারবেন না। তাঁর সৎ সাহস আছে বলেই তো রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছে জনগণকে। তারপরও সাধারণ মানুষ ৬২টা আসন দিচ্ছে। বিজেপি একটা ক্ষমতাসীন দল সেই দল দিল্লিতে দাঁত ফোটাতে পারছে না। কেন পারছে না? কর্পোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিরা দৌড়াচ্ছে। ফলাফল দেখে নেবেন একচেটিয়া আমআদমি পার্টির রেজাল্ট হবে। কারণ, কাজের মানুষ কাজ বুঝছে।
দিল্লি এমন একটা শহর, শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে প্রতি স্ক্যোয়ার ফিট অনুযায়ী যেখানে সব থেকে বেশি সিসিটিভি ক্য়ামেরা বসানো হয়েছে। নিউইয়র্ক, ফ্রান্স, ইটালি নয় ভারতবর্ষের দিল্লি সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দিয়েছে। অথচ এই সিসিটিভি ক্যামেরায় লেফটেট্যান্ট গভর্ণরকে দিয়ে বিজেপি ফাইলটা পাস করাতে দিচ্ছিল না।
প্রশ্ন- দিল্লিতে লোকসভায় কেন বারে বারে হারছে আপ?
অর্ণব- সেটা ওখানকার জনগণ কিছু ভাবছে। জনগণের মতামতকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
প্রশ্ন- শিক্ষাদফতরের দুর্নীতি নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ, আপ এখানে কি করছে?
অর্ণব- আমরা দুর্নীতির প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ করেছি। আগামী দিনে সেটা আরও তীব্র হবে। বিচারাধীন বিষয়, তবে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হতে দেখা গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি মানে পরবর্তী প্রজন্মকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলার ছেলেমেয়েরা অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। আমরা ৫ বছরে করে দেখিয়েছে। করার ইচ্ছাশক্তি থাকা দরকার।
প্রশ্ন- পঞ্চায়েত সহ নানা নির্বাচনে ভোটলুট, সন্ত্রাস নিয়ে কি বলবেন, কিভাবে আটকাবেন?
অর্ণব- প্রশাসন চাইলে এখনই স্বচ্ছ ভোট করাতে পারে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের পশ্চিম বাংলার পুলিশ অন্য রাজ্যের থেকে দক্ষ। কিন্তু পুলিশকে কাজটা করতে দিতে হবে। বোমা, সন্ত্রাসের ঘটনায় অ্যাকশন নিতে গেলেই ওপর থেকে আটকাবে। বোমা বাধার ট্রেনিং দিচ্ছে, তাঁরা স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র বানাবে। জণগন অসহায়। সাধারণকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। শ্বাসরোধ করে কতদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। এটা পরম্পরায় চলে আসছে। পঞ্চায়েতে খুন হতে পারে এটা দেখিয়েছে সিপিএম। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ। যারা বড় বড় কথা বলছে তাঁরা সিপিএমের ৩৪ বছর ভুলে যেতে পারে না। মেরে মাটি চাপা দিত সিপিএম আমলে এটা ওদের নেতা-নেত্রীরা ভুলে গিয়েছে। পঞ্চায়েতে খুন হতে পারে সেটা সিপিএম শিখিয়েছে। এখন বর্তমান সরকার সেটাকে শিল্পকে পরিণত করে দিয়েছে। বলছে, আমরা এর জন্য ট্রেনিং দেব। এর জন্য একটা ইন্সটিটিউট হতে পারে। আগামী দিনে কী হবে? পরবর্তী প্রজন্মের নেতারা এর বদলাটা নিতে চাইবে। সিপিএমের বদলা তৃণমূল নিচ্ছে। এসব নেতারা প্রশ্রয় না দিলেই বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন- ভোট নিয়ে আপের বিশেষ কোনও কৌশল?
অর্ণব- পরিকল্পনা নিশ্চয় আছে। তবে সেটা এই মুহূর্তে বলার নয়। আমরা সন্ত্রাস তো করব না। আমি পড়াশুনা জানা ছেলে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাস করেছি। হাজার বললেও আমি হকি স্টিক বা বন্দুক নিয়ে বের হতে পারব না। আমার কি আছে মগজ খাটাব, তবে সন্ত্রাসের জন্য নয়, তা আটকানোর জন্য। তার জন্য এসেছি। সময়ে জানা যাবে।
প্রশ্ন- এরাজ্যে তৃণমূলকে আটকানোর জন্য় নীচুস্তরে বাম-রাম এক হচ্ছে। আপনাদের মূল প্রতিপক্ষ কে?
অর্ণব- আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। যাঁরা দুর্নীতি করছে তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা দল হিসাবে দেখছি না। দুর্নীতিটা উপড়ে ফেলতে হবে। তার জন্য আমাদের যা যা করণীয় আমরা প্রত্যেকটা জিনিস করছি। জনগণ কেউ চায় না দুর্নীতি হোক। আম আদমি পার্টি একটা ছোট্ট দল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটা খুব সামান্য মানুষ। জনগণ আমাদের হয়ে লড়ে, আমরা লড়ি না। পাঞ্জাবেও জনগণ লড়েছে। জনগণ যেদিন ঠিক করে নেবে যেদিন দুর্নীতি মুক্ত বাংলা করব, আর পারছি না তখন তারা উপড়ে ফেলে দেবে। জনগণের শক্তি ও ধৈর্যের পরীক্ষা করা ছেড়ে দিন।
প্রশ্ন- ২০২১ তৃণমূলের জয় কি মমতার ক্যারিসমা?
অর্ণব- আমি অন্য দল নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নই। তবে জনগণ হিসাবে বলতে পারি যেভাবে চলছে তাতে বেশি দিন আর ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয়। কাজ করতে হবে। আজ ৬ লক্ষ কোটি টাকা দেনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। এটা ভয়ানক। সিএজি রিপোর্টে বলছে দিল্লি একমাত্র সরকার সারপ্লাসে চলছে। মুদ্রাস্ফিতিও সেখানে ভাল জায়গায়। কেজরিওয়ালের একটাই ম্যাজিক দুর্নীতি রোধ করা। তাহলে যে টাকা থাকবে তা দিয়ে উন্নয়ন করে শেষ করতে পরাবেন না। ভাববেন আর কিকি করা যায়। এখন দিল্লিতে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি। ম্যানিফেস্টোতে ছাড়াও কাজ করছে দিল্লি সরকার।
প্রশ্ন- বিদ্যুৎ বিলের অসামঞ্জস্য নিয়ে এখানে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে?
অর্ণব- বিদ্যুৎ ছাড়া কিছু ভাবা যায় না। প্রত্যেকের দরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতোই প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ। জনগণের টাকায় বিনামূল্যে দিচ্ছি। এখানেও তাই দিতে হবে। স্ল্যাবের কথাতেই যাচ্ছি না। বিনামূল্যে দেওয়ার কথা বলছি। যা চুরি আটকালেই প্রতিটা সরকার দিতে পারবে। আগামী দিনে এখানে পদক্ষেপ করা হবে।
প্রশ্ন- তৃণমূলের পাশাপাশি আপকেও বিজেপির বি-টিম বলা হচ্ছে?
অর্ণব- আমি সকালে অধীররঞ্জন চৌধুরীর লেখাতেও দেখলাম আপ বিজেপির বিটিম। আমার দুটি প্রশ্ন- প্রত্যেকদিন কোথাও না কোথাও কংগ্রেসের বিধায়ক বিক্রি হচ্ছে। গোয়াতে পুরো বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস যেখানে যেখানে শূন্য হয়ে যাচ্ছে সেখানে আপ কি বিটিমের কাজ করছে? তা নয়। গুজরাটে ভোট চলছে আর রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা করছেন তামিলনাড়ু, কেরালায়। দুদিনের জন্য গুজরাট গিয়েছেন। সাধারণ বাচ্ছা ছেলে বলে দেবে কে কার বিটিমের হয়ে কাজ করছে। বিজেপিকে গুজরাটে ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। সিবিআই, ইডি যাচ্ছে মনীষ শিশোদিয়ার বাড়িতে। চার্জশিটে তাঁর নাম পর্যন্ত দিতে পারেনি। মুখ পুড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আতঙ্কবাদী, দুর্নীতিগ্রস্ত বলছে, আজ পর্যন্ত একটা কালির ছিঁটা লাগাতে পেরেছে। এত প্রচেষ্টা সত্বেও সিবিআই রেইড করে কিচ্ছু পায়নি। তাঁরাই সার্টিফিকেট দিচ্ছে।
প্রশ্ন- নানা নেতাদের আপে জয়েন করার জল্পনা চলছে? অভিযুক্তদের আপ নেবে?
অর্ণব- আপে এসে সবাই থাকতে পারবে না। পঞ্জাবে দুর্নীতি করছে খবর পাওয়ায় ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে ১০ মিনিটের মধ্যে বের করে দিয়েছে। পুলিশের হাতে তথ্য় তুলে দিয়েছে। আমি দুর্নীতি করলেও আমার দল আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেবে। এই ভয়টা কোনও রাজনৈতিক দলের আছে?
প্রশ্ন- এখানে লোকসভায় লড়বে আম আদমি পার্টি?
অর্ণব- এখনও অনেক দেরি আছে। লোকসভা, বিধানসভায় অনেক দলকে বলতে শুনি বিজেপিকে সরাব। বিজেপিকে সরিয়ে আপনি কি করবেন? আপনার এজেন্ডা কি? শুধুই বিজেপিকে সরাব। আপনি জণগণের জন্য কি করবেন সেটা বলছেন না। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন ভারতকে সর্বশ্রেষ্ট করতে চাই। এক নম্বর করতে চাই। তার জন্য ৫-৬টা এজেন্ডা এনেছেন। সেখানে বাকি দলেরা বলছে বিজেপিকে সরাব। মানুষ আশায় ভোট দেয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে পারে না। জনগণের ওপর ভরসা রাখুন।
প্রশ্ন-এখানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কবে আসেছেন?
অর্ণব- অরবিন্দ কেজরিওয়াল বার বার একটা কথা বলেন আপনাদেরকে আপনাদের এলাকার অরবিন্দ কেজরিওয়াল হতে হবে। তবেই দেশ এগোবো। সিস্টেমে বিরক্ত হলে আপনারাই উপড় ফেলবেন।