রাজ্যে গণপ্রহারের সর্বোচ্চ সাজা হতে চলেছে মৃত্যুদণ্ড। একইসঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হবে ৫ লক্ষ টাকা। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় পাশ হল গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল। প্রথমে বিলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের উল্লেখ থাকলেও পরে সংশোধনী এনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেস ও সিপিএম বিধায়করা এই বিলকে সমর্থন করেছেন। বিজেপি বিধায়করা সমর্থন বা বিরোধিতা, কোনোটাই করেন নি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, "রাজস্থান গণপিটুনি প্রতিরোধে বিল এনেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশকে পথ দেখাল।"
গণপিটুনি প্রতিরোধ নিয়ে কেন্দ্র এখনও তেমন কোনও আইন পাশ করাতে পারে নি। বিধানসভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “গণপিটুনির বিরুদ্ধে আমদের সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট গণপিটুনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো দরকার।”
আরও পড়ুন: মমতাকে ‘আমন্ত্রণ’ মুকুলের, ‘তবে মুখ্যমন্ত্রী একই থাকবে, এর কোনও মানে নেই’!
সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আরও শাস্তির বিধান রয়েছে এই বিলে। এইধরনের ঘটনায় কোনও একজন বা একাধিক ব্যক্তি আহত হলে, দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তের ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। জখম ব্যক্তি যদি অত্যন্ত গুরুতর হন, সেক্ষেত্রে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা হবে, এবং ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে। গণপ্রহারে নিহত হলে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড বা সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। জরিমানা হবে ৫ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এরাজ্যে বাড়ছে গণপিটুনিতে মৃত্যুর সংখ্যা। অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, সেক্ষেত্রে এই আইন কার্যকরী হলে গণপ্রহার কমার সম্ভাবনা রয়েছে।