বাজেটের দিনই বিধানসভায় ঢুকে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের কাছে পৌঁছে নিজেকে বিধায়ক বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে। গত বুধবারের ওই ঘটনার পর বিধানসভার নিরাপত্তার বহর বাড়ানো হল।
বিধানসভার প্রধান দু’টি গেটেরই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিধানসভার অভ্যন্তরে সাদা পোশাকের পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিধানসভার মূল গেটে ঢোকার মুখে বিধায়কদের পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক হয়েছে। বিধায়কদের গাড়িতে বিধানসভার স্টিকার সাঁটতে হবে। এমনকী বিধায়কদের বাসেও এদিন নজরদারি চালানো হয়েছে।
নিরাপত্তার খাতিরে কড়া নিয়ম মানার জন্য বিধায়কদের আর্জি জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশের দিন বিধায়ক পরিচয় দিয়ে বিধানসভায় ঢুকে পড়েছিলেন এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের কাছে লবি পর্যন্ত ফৌঁছে যান তিনি। পরে বৈধ পরিচয়পত্র না দেখাতে পারায় তাঁকে গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। পরে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে যে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। ধৃত হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে বসবাসকারী চিরঞ্জিতলাল শর্মা। তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। দু’বার দু’ধরণের নাম বলেছেন নিজের। তদন্তে উঠে এসেছে যে, ২০২০ ও ২০২১- পরপর দু’বছর ধৃত তাঁর একমাত্র ছেলে ও স্ত্রীকে হারিয়েছেন। বর্তমানে তিনি পুত্রবধূ ও নাবলক নাতনীর সঙ্গে বসবাস করেন।
ওই ঘটনার জেরেই নিরাপত্তা বাড়ানো হল বিধানসভার।