মামার বাড়িতে বোমা ফেটে জখম হল দুই বালক। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়্গ্রাম থানার একডালা গ্রামে। দুই শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালে মৃত্যু হল এক বালকের। পুলিশ জখম শিশুদের দাদু জামিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলার দিকে দাদুর পরিত্যক্ত বাড়ির চিলেকোঠায় বোমকে বল হিসাবে খেলতে গিয়ে জখম হয় দুই বালক। দুই বালকের নাম রোহন শেখ ও সোহন শেখ। একডালা গ্রামের বাসিন্দা জামিরুল শেখের দুই মেয়ে। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে গ্রামেই। আরেকটি মেয়ের বিয়ে হয়ছে নলহাটি থানার গোবিন্দপুর গ্রামে। দিন কয়েক আগে মায়ের সঙ্গে দাদুর বাড়িতে যায় রোহন।
এদিন বেলা ১১টার দিকে মাসির ছেলে সোহনের সঙ্গে দাদুর পরিত্যক্ত বাড়ির চিলে কোঠায় উঠে মজুত বোমাকে বল হিসাবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে দুই বালকের হাত এবং চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। তাদের প্রথমে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন হাওড়ায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে শিশুকন্যার সামনে গুলি করে খুন মহিলাকে
ঘটনার পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে দাদু জামিরুল শেখ বলেন, “দুই নাতিতে চকলেট বোমা এক সঙ্গে বেঁধে ফাট্টাচ্ছিল। আমি তাদের মানা করি। কিন্তু কথা শোনেনি। চকলেট বোমা ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটেছে”। রোহনের বাবা খাইরুল বাসার বলেন, “দুই ভাইয়ে খেলছিল। পরে খবর পায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এমন ঘটনা ঘটেছে”। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ দাদু জামিরুল শেখকে গ্রেফতার করেছে।
তৃণমূল পরিচালিত কালুহা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আকাল লেট বলেন, “আমি মাঠে কাজ করছিলাম। বোমের বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসি। ততক্ষণে দুই বালককেই হাসপাতালে নিয়ে চলে গিয়েছিল। জামিরুল আমাদের দলের সমর্থক”। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “মজুত বোমা থেকেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে”।