প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর সঙ্গে দেখা করতেই আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল, বুধবার নয়াদিল্লিতে মোদীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের কথা রয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের নাগাল পেতে যখন মরিয়া সিবিআই, ঠিক সে সময়ই মোদী-মমতা সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের।
কী কারণে দিল্লি সফর?
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করতেই রাজধানী যাচ্ছেন মমতা। রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাছাড়া তৃণমূলের সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মমতা।
আরও পড়ুন: ‘রাজীব কুমারের মামলা সম্ভবত ফাইলই হয়নি বারাসত আদালতে’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে একাধিকবার মোদীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতাকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মোদী। উনিশের নির্বাচনী প্রচারে মোদী-মমতা বাগযুদ্ধে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। ভোট পরবর্তী সময়েও মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ কমাননি তৃণমূলনেত্রী। সম্প্রতি এনআরসি ইস্যুতে বিরোধিতা জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ‘‘আরেকটা বঙ্গভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। বাংলাকে যাঁরা হিংসা করেন, তাঁরা জেনে রাখুন, বাংলা মাথা নত করবে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আমরা সবাই রয়েছি দেশকে রক্ষা করার জন্য। আরেকবার ভারত ভাগ করতে দেব না’’। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বিজেপিকে বিঁধে মমতা টুইটারে লিখেছেন, ”আসুন আমরা সকলে আমাদের দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে অক্ষুণ্ণ রাখার অঙ্গীকার করি। এই ‘সুপার এমারজেন্সি’-র জমানায় মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যা যা করতে হবে আমরা তা অবশ্যই করব।” এই আবহে মোদীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
Read the full story in English