ফের রাজ্যের করোনা-গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের চেয়ে বেশ খানিকটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬২ জন, মৃত্যু ৮ জনের। আবারও সংক্রণম শীর্ষে তিলোত্তমা মহানগরী। কলকাতার পরেই দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা।
মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে খুলে গিয়েছে স্কুল, কলেজ। করোনা পরিস্থিতির কথায় মাথায় রেখে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে স্কুল, কলেজ খোলার পরের দিনেই রাজ্যের কোভিডগ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। একদিনে প্রায় ৯০০-র কাছাকাছি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৩৮ জন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একদিনে করোনায় কাবু আরও ১২২। সংক্রমণের নিরিখে তৃতীয় কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। তারপরেই রয়েছে হুগলি ও হাওড়া। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯,৩৪১ জনের। ইতিমধ্যেই করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৬৪ জন। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এই মুহূর্তে ১৬ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৬ জন। এই মহূর্তে রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮.৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন- জমি মাফিয়ার অত্যাচার, ভিটেমাটি খুইয়ে দিশেহারা অসহায় দম্পতি
দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রে একাংশের জনগণের হেলদোলহীন মানসিকতাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুজোর সময় যথেচ্ছভাবে ভিড় জমিয়ে ঠাকুর দেখার মাশুল গুণছে রাজ্য, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তবে পরিস্থিতি এখনই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বলেও মনে করেন না অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ।
সংক্রমণ এড়াতে আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা। রাজ্য সরকারও করোনা এড়াতে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। সংক্রমণ-প্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। এলাকা ধরে ধরে কন্টেনমেন্ট জোন হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সেফ হোমের সংখ্যা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন