Advertisment

আচমকা রাজ্যে কমে গেল নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা

এখনও করোনায় মৃত্যু রোখা যাচ্ছে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Omicron in Community Transmission Stage in India INSACOG

ওমিক্রন নিয়ে এখনও ধন্দে গবেষকরা।

শনিবার রাজ্যে করোনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার, সেটাই বেড়ে হয়েছিল ২৭। সোমবার কমে হয়েছে ২৩। তবে, মৃত্যুহার কমেনি। শনিবার রাজ্যে করোনার মৃত্যুর হার ছিল ১.০৪ শতাশ। রবিবার তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ১.০৫ শতাংশ। সোমবারও হার একই আছে। কিন্তু, তারমধ্যেই আচমকা রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisment

সোমবার রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪,৭৭৬ জনের। রোগীও কম ধরা পড়েছে, ৩২০ জন। সাধারণ মানুষের চিন্তা বাড়িয়ে আবার একদিনে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও কমেছে। সোমবার একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১,৩১৪ জন। সোমবার নমুনা পরীক্ষা কম হলেও পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সংখ্যা কিন্তু কমেনি। গত দু'দিনের মতো সংখ্যাটা ১৬২ ছিল সোমবারও। তার পরও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম কেন হল, তা নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।

কারণ, বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার ব্যাপারে এখনও বহু ব্যাপারই অজানা। এই ভাইরাস বারবার সংস্করণ বদলাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ফের তা ব্যাপকহারে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই জন্য করোনাবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার কথাও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। একই সতর্কবাণী শুনিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। কিন্তু, করোনা নিয়ন্ত্রণে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে করোনাবিধি মানার প্রবণতা কমছে। বুধবার থেকে আবার রাজ্যে শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে যাচ্ছে। অথচ, এখনও কিন্তু, শিশুদের করোনার টিকাকরণ হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাবিধি মানায় ঢিলেমি ভাব এসেছে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর, এতেই তাঁরা উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, প্রশাসনের মধ্যে ঢিলেমি ভাব আসায়, সাধারণ নাগরিকরাও করোনাবিধি পালনে ঢিলেমি দিয়েছেন। প্রশাসনের এই ঢিলেমির অন্যতম কারণ রাজ্যের পুরভোট বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন- এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব ইলকার আইসির হাতে তুলে দিল টাটা গোষ্ঠী

শনিবারই রাজ্যের চার পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে। সেই সময় বিভিন্ন দলের সমর্থকরা যথেচ্ছভাবে করোনাবিধি ভেঙেছেন। এমন অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ছিল সেই চার পুরসভায় ভোটের ফলপ্রকাশ। সেখানে ফল প্রকাশের পরও অবাধে করোনাবিধি ভাঙতে দেখা যায় বিভিন্ন দলের সদস্য, সমর্থকদের।

তার মধ্যে সামনেই আবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রচার এখন চলছে জোরকদমে। কিন্তু, সেই প্রচার চালানোর ক্ষেত্রেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলছে করোনাবিধি ভাঙার অভিযোগ। স্বভাবতই এভাবে চললে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Mamata Banerjee West Bengal coronavirus
Advertisment