Advertisment

কাটমানি ইস্যু নিয়ে বিক্ষোভ রাজ্যে, চলছে ঘেরাও পর্ব

জেলায় জেলায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের একাংশকে ঘেরাও করে কাটমানি ফেরতের দাবি জানায় সাধারণ মানুষ, হেনস্থার মুখেও পড়তে হয় ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata banerjee, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কাটমানি ইস্যু কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটমানি ফেরতের কড়া হুঁশিয়ারির পর অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয় রাজ্যে। জেলায় জেলায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের একাংশকে ঘেরাও করে কাটমানি ফেরতের দাবি জানায় সাধারণ মানুষ, হেনস্থার মুখেও পড়তে হয় ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের। তাঁদের অনেকেই আবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তৃণমূলের অভিযোগ সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে কাটমানি ইস্য়ুতে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। একাধিক জায়গায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ।

Advertisment

আরও পড়ুন অশান্ত মঙ্গলকোট, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলি-বোমাবাজি

কাটমানি ফেরতের দাবি নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কৈচর গ্রাম পঞ্চায়েতের বনকাপাসি গ্রামে বসানো হয় সালিশি সভা। অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের নামে ৪২ জনের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার কথা স্বীকার করেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মৃণালকান্তি পাল, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাঘবচন্দ্র ঘোষ-সহ চার তৃণমূল নেতা। সেখানে ক্ষমা চেয়ে কাটমানি নেওয়ার কথা কবুল করেন অভিযুক্ত নেতারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের অভিযুক্তেরা হাতজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করে জানিয়েছেন, তাঁরা ভুল করেছেন। তাদের বক্তব্য়, যে তাঁরা দল চালানো এবং তৃণমূলের পার্টি অফিস করার জন্য এই টাকা নিয়েছিলেন। এরপর লিখিত মুচলেকা দিয়ে আগামী একমাসের মধ্যে কাটমানির ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতিও দেন তৃণমূলের এই চার স্থানীয় নেতা।

এদিন একই ছবি দেখা গিয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বনগ্রামে। গ্রামবাসীদের তরফে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা নিয়েছেন বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোহন দাস। কাটমানি ফেরতের দাবি নিয়ে আজ সকালে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করেন গ্রামবাসীরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের এই বুথ সভাপতি। তিনি জানান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আগে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। তিনি বলেন, "বিজেপি রাজনৈতিক অভিসন্ধির কারণে এই সব কথা বলছে। দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে টাকা ফেরত দিয়ে দেব"। যদিও বিজেপি দাবি করেছে এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগসূত্র নেই।

আরও পড়ুন, ফিরহাদকে ‘মুখ্যমন্ত্রীর চামচা’ বলে তোপ অর্জুনের

অন্যদিকে, কাটমানি ফেরতের দাবিতে নিউটাউনের জ্যাংরা হাতিয়ারার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে স্বপন সূত্রধর নামের এক বাসিন্দা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য় বাপি রায়ের বাড়ির পাশের একটি জমি কেনেন। অভিযোগ, বাপি রায় এবং তাঁর ভাই দু'দফায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা কাটমানি নেন। সেই টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে এদিন বাপি রায়ের বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয়রা। এরপর নিউটাউন থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তৃণমূলের এই সদস্যর দাবি তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাঁকুড়ার জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যার বাড়ির সামনেও এদিন কাটমানি ইস্য়ুতে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি প্রকল্প এবং কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিতেন তৃণমূলের সদস্যা বাণী হাজরা। প্রথমে তাঁর নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ বাণী হাজরার বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূলের সদস্যার দাবি, বিজেপি চক্রান্ত করে এইসব করছে। অপরদিকে তৃণমূলের অভিযোগ নস্যাৎ করেছে বিজেপি।

West Bengal bjp tmc
Advertisment