বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেছে সরকারি কর্মচারীদের যৌথ সংগ্রাম মঞ্চ। তার আগে কাজে না আসলে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল নবান্ন। এবার সেই পথে হাঁটতে শুরু করল মমতা প্রশাসন।
যাঁরা ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন তাঁদের শোকজ নোটিস পাঠানো শুরু করল সরকার। সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের আগে রাজ্য সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। উপযুক্ত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে একদিনের বেতন, এমনকী চাকরিজীবনের একদিন বাদ দেওয়া হবে। যাকে বলে ব্রেক ইন সার্ভিস। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের অর্থ দফতর। সেই অনুযায়ী শুরু হচ্ছে শোকজের প্রক্রিয়া।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মীদের লিখিত জানাতে হবে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না। সন্তোষজনক উত্তর না এল পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে নোটিসে।
আরও পড়ুন বাংলা থেকে দিল্লিতে তলব, টানা প্রশ্নে ‘বিস্ফোরক তথ্য’, গ্রেফতার অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিএ আন্দোলনকারীদের যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজভবনে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, প্রাক্তন আমলা হিসাবে রাজ্যপাল তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত। এবং তাঁদের দাবি আদায়ের বিষয়ে কর্মচারীদের পাশে আছেন বলে তাঁদের দাবি। তবে রাজ্যপাল সরকার এবং আন্দোলনকারী দুই পক্ষকেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন।
মূলত, রাজ্য সরকারের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান না। কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁকে ডিএ-র ফারাক প্রায় ৩৩ শতাংশ। রাজ্য বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী এখন রাজ্য সরকারি কর্মীরা মূল বেতনের ৬ শতাংশে হারে মহার্ঘ ভাতা পান।