৪ দিন কেটে গিয়েছে, জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় এখনও উত্তাল এনআরএস। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশময়। ইতিমধ্যেই চিকিৎসকদের ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। ‘এনআরএসে মুখ্যমন্ত্রী না এলে আন্দোলন উঠবে না’, এ হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যের এই জটিল পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর শরনাপন্ন হয়েছিলেন খোদ রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। কিন্তু রাজ্যপালের ফোনই ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বাংলার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
শুক্রবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ওঁকে ফোন করেছিলাম। এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব দেননি। উনি যদি আমায় কল ব্যাক করেন, তাহলে এ নিয়ে (এনআরএস ইস্যু) আলোচনা করব’’। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধের পর আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে দেখতে যান রাজ্যপাল। মাথায় চোট নিয়ে মধ্য কলকাতার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ। এনআরএসকাণ্ডে সমস্যা মেটাতে রাজ্যপালেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন: NRS doctors’ protest Live: এনআরএসে অব্যাহত অচলাবস্থা, আজও বন্ধ আউটডোর
এদিকে, আজ নবান্নে বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁরা নন, মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে হবে এনআরএসে, না হলে আন্দোলন উঠবে না, এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার নবান্নে সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পরই জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই ডাক ফিরিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে এনআরএসে যান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কিন্তু কোনও রফা মেলেনি।
Read the full story in English