NRS doctors’ protest Updates: এনআরএস ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। তাড়াতাড়ি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলুন’’। চিঠি পাওয়ার পর রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্যপাল জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফোন ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, এনআরএস ইস্যুতে আলোচনার দরজা খোলা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে গেলেন না এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়, ‘‘গতকাল ডিএমই স্যার জানান, নবান্নে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠিয়েছেন। গত ২ দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে বন্ধ ঘরে নিরপেক্ষ আলোচনা হবে কিনা , সেটা কতটা নিরাপদ সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। তাই আমরা নবান্নে যাচ্ছি না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি, উনি যেন এখানে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করেন’’।
এদিকে, এনআরএসকাণ্ডে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উল্লেখ্য, ৫ দিন ধরে অচলাবস্থা চলছে এনআরএসে। জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহকাণ্ডে দেশজুড়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। প্রসঙ্গত, এর আগে সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যকে অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
এনআরএসে ডাক্তারদের বিক্ষোভ আপডেটস: ‘‘আপনি ওদের মায়ের মতো, আমাদের অনুরোধ আপনি একবার এসে কথা বলুন’’, এনআরএসকাণ্ডে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জি জানালেন অভিনেত্রী-পরিচালক তথা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে ‘আমরা পরিবর্তন চাই’ ফেস্টুনের অন্যতম মুখ অপর্ণা সেন। শুক্রবার সকালে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন, নাট্য ব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন, সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র, বোলান গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখরা।
এনআরএসকাণ্ডে এবার নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সমালোচনা করলেন ‘বিতর্কিত’ তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। ‘‘রাগ করে লাভ নেই, যত দ্রত সম্ভব আলোচনায় বসে সমস্যা মেটানো জরুরি। কেউ এখানে বড় নয়, কেউ এখানে ছোটো নয়। আমি ক্ষমা চাইলে যদি কাজ হয়, তাহলে আমি ক্ষমা চাইতে রাজি আছি’’, এ রকম ভাবেই পরোক্ষে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষের সুরে পরামর্শ দিলেন এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে বহুলচর্চিত সব্যসাচী দত্ত।
Web Title:
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, আজ সন্ধ্যায় সেখানকার প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন হাসপাতালে গেলে তাঁকে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে "আর জি করের লজ্জা" স্লোগান তুলে তাঁকে চলে যেতে বলেন ছাত্রছাত্রীরা।
জল্পনা চলছিল, জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যাবেন তিনি। তারপর শোনা গেল, এনআরএস হাসপাতাল চত্বরেই হয়তো দেখা যাবে তাঁকে। শেষমেশ কোনোটাই করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে নবান্ন-তে মন্ত্রী অমিত মিত্র এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, এবং নগরপাল অনুজ শর্মাকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন। ফলে কার্যত জট কাটল না জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের। তবে ফেসবুকে নিজের অবস্থান জানিয়ে একটি পোস্ট করেন মমতা, বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
এদিকে শনিবার সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। কুণালের দাবি, "আমি ২০১৩ সালে সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা এই হাসপাতালে দিয়েছিলাম। ২০১৮ সালে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়।" তাঁর বক্তব্য়, "যে হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য ভেনটিলেটর নেই, তারা কোন কারণে টাকা ফেরায়? যদি ঐ টাকায় এসব কেনা যেত, তাহলে হয়ত বাচ্চাটি বাঁচতেও পারত। সরকারি দলের সঙ্গে আমার দূরত্বের কারণে আমার সাংসদ তহবিলের টাকায় মানুষের কাজ করা হবে না, এটা কুৎসিত রাজনীতি। কেন এই টাকা ফেরত দেওয়া হল?" কুণালের আরও বক্তব্য, "একটি শিশুমৃত্যু নিয়ে চাপানউতোর চলছে। মর্মান্তিক ঘটনা। প্রচার হচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের জন্য মৃত্যু। আসলে দেখলাম, বাচ্চাটি এখানেই ছিল। এই হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ভেনটিলেটর নেই বলেই অন্যত্র পাঠানোর প্রয়োজন হয়। হাসপাতালের উন্নয়নে আমি টাকা দিয়েছিলাম। যেকোনও কাজ করা যেত। তা না করে পাঁচ বছর টাকা ফেলে রেখে ফেরত দেওয়া হল। ভাবা যায় না!"
এনআরএস ইস্যুতে জট কাটাতে আলোচনার দরজা খোলা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ফের এসমা আইনের প্রসঙ্গে তুলে পরোক্ষে জুনিয়র ডাক্তারদের কৌশলী বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের হাতে আইন আছে, চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু ওঁদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবেই কিছু করতে চাই না। সরকার এখনও কারও সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেনি। মানবিকতায় বিশ্বাস করি বলে এসমা আইনে ব্যবস্থা নিইনি, কাউকে গ্রেফতারও করিনি। কিন্তু আর কতদিন?’’। এ প্রসঙ্গে অন্য রাজ্যে এসমা আইন লাগুর উদাহরণ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে মানবিকতায় বিশ্বাস করি বলে এসমা আইনে ব্যবস্থা নিইনি: মমতা
এনআরএস ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মমতা পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। তাড়াতাড়ি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলুন’’। চিঠি পাওয়ার পর রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্যপাল জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফোন ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এনআরএস ইস্যুতে আলোচনার দরজা খোলা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৫ ঘণ্টা বসেছিলাম। আমি কিন্তু কোনও সেন্টিমেন্ট নিইনি। কাল ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলাম। তাঁরা জানালেন আজ (শুক্রবার) আসতে পারবেন না। কাল (শনিবার) আসবেন। সমস্যা মেটানোর জন্য আজ এলাম। অপেক্ষা করলাম সমাধানের জন্য। কেউ এল না। ২ দিন সময় দিলাম এল না। সিনিয়র ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছেন। কাল সব জাক্তারদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। সব ব্যবস্থা নিচ্ছি, আপনারা কাজে যোগ দিন। সরকার এখনও কারও সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেনি। মানবিতকায় বিশ্বাস করি বলে এসমা আইনে ব্যবস্থা নিইন, কাউকে গ্রেফতারও করিনি। কিন্তু আর কতদিন? জুনিয়র ডাক্তারদের কেউ কেউ প্ররোচনা দিচ্ছেন উস্কানি দিচ্ছেন। কথা বলার দরজা সবসময় খোলা রয়েছে। নবান্ন প্রশাসনিক দফতর। এখানে আসা সম্মানের ব্যাপার। সরকার যেখানে ডাকছে, সেখানেও আপনারা বলছেন যাব না’’।
এনআরএসের ঘটনায় মুখ্যসচিব মলয় দে বলেন, ‘‘সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। সরকারের অনেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা আসেননি। সরকারপক্ষের থেকে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হোক। সবার স্বার্থে সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করছি’’।
নবান্নে ফের সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সিনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘‘মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের অক্ষমতার কথা জানিয়েছি, যে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে আনতে পারিনি। আমরা মধ্যস্থতা করতে পারছি না। মুখ্যসচিব স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছিলেন, জমা দিয়েছি’’। প্রথমে নবান্নে মমতার বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছিলেন, যেহেতু জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে অংশ নিচ্ছে না, তাই কোনও লাভ হবে না। পরে মত বদলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
এনআরএস আন্দোলনে যোগ দিলেন আইনজীবীরাও। ছবি: শশী ঘোষ।
নবান্নে সন্ধে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরএসকাণ্ডে কী বলবেন মুখ্যমন্ত্রী? তাকিয়ে গোটা রাজ্য।
আন্দোলনে অনড় এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা নবান্নে যাচ্ছেন না। জুনিয়র ডাক্তারদের এই সিদ্ধান্তের পরই নবান্নে বৈঠক ভেস্তে গেল। নবান্নে যাচ্ছেন না সিনিয়র ডাক্তাররাও। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধেয় নবান্নে কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মমতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকেই এনআরএসে আসতে হবে, এই দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা।
রাজ্যকে ফের অ্যাডভাইজরি পাঠালো কেন্দ্রীয় সরকার। এনআরএসকাণ্ডে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উল্লেখ্য, ৫ দিন ধরে অচলাবস্থা চলছে এনআরএসে। জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহকাণ্ডে দেশজুড়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। প্রসঙ্গত, এর আগে সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যকে অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
এনআরএসকাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তার দাবি মানল রাজ্য। ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দেখে নিন একনজরে...
শনিবারও জট কাটেনি এআরএসের। জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় এখনও আন্দোলনরত ডাক্তারকুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুমকি, পাল্টা ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি সবমিলিয়ে সরগরম রাজ্যে। কলকাতার বুদ্ধিজীবিরাও এনআরএস পৌঁছে গিয়েছেন ডাক্তারদের সমর্থনে। সোশাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন তারকারা। দেবের পর এবার ডাক্তার নিগ্রহ নিয়ে কথা বললেন সাংসদ নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ডাক্তারদের ধন্যবাদ সাংসদ মিমির
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যাচ্ছেন না এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়, ‘‘গতকাল ডিএমই স্যার জানান, নবান্নে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠিয়েছেন। গত ২ দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে বন্ধ ঘরে নিরপেক্ষ আলোচনা হবে কিনা , সেটা কতটা নিরাপদ সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। তাই আমরা নবান্নে যাচ্ছি না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি, উনি যেন এখানে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করুন’’।
এনআরএসে আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্য কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিবহ মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে বাড়ানো হল নিরাপত্তা। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধের পর পরিবহকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এদিকে, এনআরএসকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপে’র নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হবর্ষবর্ধন। সেই প্রেক্ষিতে পরিবহকে দেখতে মমতার হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সবিস্তারে এই প্রতিবেদনে পরিবহকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করলেন আইএমএ সভাপতি শান্তনু সেন। এদিন এনআরএসে গিয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘আন্দোলনকারী জুনিয়র জাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। আইএমএ প্রথম থেকেই এ ঘটনার ধিক্কার জানিয়েছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমাদের সব দাবি মানা হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা শোনেন, এই দাবি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আজ বিকেল ৫টায় নবান্নে কথা শোনার জন্য সময় দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বলেছি দেখা করার জন্য। সবদিক বজায় রেখে সুস্থ সমাধান যাতে হয়, সবাইকে অনুরোধ করেছি সিদ্ধান্ত নিতে। ওঁরা (জুনিয়র ডাক্তার) বৈঠক করে জানাবেন বলেছেন। আন্দোলনে লক্ষ্য করেছি, বাইরে থেকে কিছু লোক ঝামেলা জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। জোর করে অস্থিরতার বাতাবরণ টিকিয়ে রাখার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের ব্রেনওয়াশ করবেন না’’।
এনআরএসকাণ্ডে আন্দোলনের মধ্যেই অন্য ছবি শহর কলকাতায়। কয়েন গিলে ফেলেছিল একটি শিশু। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে করা হল শিশুর অস্ত্রোপচার। সুস্থই আছে শিশুটি।
এনআরএসকাণ্ডে চিকিৎসকদের গণইস্তফা অব্যাহত। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ইস্তফা দিলেন ৩৪ জন চিকিৎসক। হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে আউটডোর, তবে খোলা রয়েছে জরুরি পরিষেবা।
যত সময় এগোচ্ছে, এনআরএসকাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ঝাঁঝ ততই বাড়ছে। ৪ দিন পরও এনআরএসে জারি অচলাবস্থা। এ ঘটনায় ইস্তফা দিয়েছেন শতাধিক চিকিৎসক। এই প্রেক্ষাপটে কার্যত থমকে চিকিৎসা পরিষেবা। যার জেরে চরম হয়রানির মুখে পড়েছেন রোগীরা। এই প্রেক্ষাপটে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে গর্জে উঠলেন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সবিস্তারে পড়ুন, এই প্রতিবেদনে এনআরএসকাণ্ডে ডাক্তারদের পাশে প্রসেনজিৎ
অচলাবস্থা কাটাতে এনআরএসে আইএমএ-র বৈঠক। এনআরএসের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক। জুনিয়র ডাক্তাররাও বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। বৈঠকে থাকবেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা দেখা করবেন কিনা সে নিয়ে রফা মিলতে পারে।
এনআরএসকাণ্ডে জট কাটাতে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। কিন্তু রাজ্যপালের ফোনই ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বাংলার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ওঁকে ফোন করেছিলাম। এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব দেননি। উনি যদি আমায় কল ব্যাক করেন, তাহলে এ নিয়ে (এনআরএস ইস্যু) আলোচনা করব’’। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে মমতা ফোন ধরেননি: রাজ্যপাল
এনআরএসকাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজ যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা না হলে, এসমা আইনে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু লাভ হয়নি। ৪ দিন পর আজও অচল এনআরএস। এই প্রেক্ষাপটে এবার মমতা সরকারকে সমস্যা মেটানোর জন্য সময় বেঁধে দিল দিল্লির এইমসের চিকিৎসকদের সংগঠন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা না মিটলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল এইমসের চিকিৎসকদের সংগঠন। সবিস্তারে এই প্রতিবেদনে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, মমতাকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিল এইমস
কলকাতার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানালেন পাকিস্তানে তরুণ চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন তাঁরা। পাকিস্তানের ‘ইউথ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ (ওয়াইডিএ) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তানের তরুণ ডাক্তারেরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আন্দোলনরত ডাক্তারদের সম্পূর্ণ সমর্থন করছেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য এবং আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তাঁরা। পাক ডাক্তারদের ওই সংগঠনের বক্তব্য, কর্মক্ষেত্রে ডাক্তারদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা একান্তভাবেই রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে এবার পাকিস্তান
এনআরএসকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এনআরএসের ঘটনার জেরে অবিলম্বে অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘আপনি ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করুন’’।
৪ দিনে পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। এখনও অচলাবস্থা এনআরএসে। ইতিমধ্যেই এনআরএসের ঘটনায় গর্জে উঠছে গোটা দেশের চিকিৎসকমহল। বহু চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। আজও এনআরএসে বন্ধ রয়েছে আউটডোর পরিষেবা। তবে খোলা রয়েছে জরুরি বিভাগ। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে রোগীদের ভিড় অনেকটাই কমেছে এনআরএসে। আজ নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এনআরএসে না এলে আন্দোলন উঠবে না, এমন সিদ্ধান্তেই অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা।