নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তৈরি বাংলা। শনিবার বছর শেষের দিনে ফেস্টিভ মুডে বাঙালি। উপচে পড়া ভিড় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালির সমুদ্র সৈকতে তিল ধারণের জায়গা নেই। শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবপ্রেমীদের বিপুল সমাগম।
আজ ২০২২-এর শেষ দিন। আগামিকাল থেকে শুরু ফের নতুন একটি বছর। ২০২৩-কে স্বাগত জানাতে পুরোদমে প্রস্তুত বাংলাও। বর্ষবরণের আবহে তাই বাঁধভাঙা আনন্দে ভেসে যেতে তৈরি আট থেকে আশি। শনিবারই যার প্রমাণ মিলল কলকাতা-সহ বাংলার নানা প্রান্তে।
আজ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে বিপুল ভিড়। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালি-সহ সমুদ্র সৈকতগুলিতে যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। সমুদ্রতটের এই ভিড়কে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিত এড়াতে সতর্ক প্রশাসনও। রাজ্যের সব সমুদ্র সৈকতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সতর্ক করা হয়েছে নুলিয়াদের।
আরও পড়ুন- ‘জয় শ্রীরাম বন্ধে বিধানসভায় বিল আনুন’, ইংরেজদের সঙ্গে তুলনা করে মমতাকে ‘টিপ্পনি’ দিলীপের
শনিবার বোলপুরের শান্তিনিকতনেও ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শান্তিনিকেতনে বেড়াতে গিয়েছেন পর্যটকেরা। কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকতেনেই বছর শেষের দিনটি কাটাতে ঢল নেমেছে। অন্যদিকে, বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠতে প্রবল শীত গায়ে জড়িয়েই পর্যটকের বিপুল ভিড় পাহাড়নগরী দার্জিলিঙেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ঙের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট কানায়-কানায় পূর্ণ।
আরও পড়ুন- সুপার-ডুপার হিট বন্দে ভারত, ঝড়ের গতিতে ফুরোচ্ছে টিকিট
এদিক, বর্ষবরণের আবহে শহর কলকাতাও উৎসবমুখর। বড়দিনের আগে থেকেই সেজে উঠেছে কলকাতা শহরের রাস্তা-ঘাট। রঙিন আলোয় সেজেছে রাজপথ। বছর শেষের প্রতিটি মুহূর্ত আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টায় খামতি নেই প্রশাসনেরও। শনিবার বছর শেষের দিনটিতে ভিড়ে ভিড়াক্কার কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত। আলিপুর চিড়িয়াখানা, নিকো পার্ক, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল থেকে শুরু করে জাদুঘর, প্রিন্সেপ ঘাট, ইকো পার্ক জমজমাট। বর্ষবরণের এই আবহ সুষ্ঠু ও মসৃণ রাখতে সতর্ক কলকাতা পুলিশও। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।