নতুন বাড়িতে আসার পর থেকেই বিড়ম্বনায় দিলীপ ঘোষ। বুধবার নিউটাউনে নতুন বাড়ির পাশে চা চক্রে বিজেপি রাজ্য় সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে দিলীপের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন অমিত শাহ। এদিকে, মমতার হুঙ্কারেও টলানো গেল না বাসমালিকদের সংগঠনের কর্তাদের। অন্য়দিকে, আনলক ২-এর প্রথম দিন খুলল কালীঘাট মন্দিরের দরজা। বাংলার এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
দিলীপের উপর 'হামলায়' অমিত শাহর ফোন
নিউটাউনে নতুন বাড়িতে আসার পর থেকেই বাড়ির মালিককে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, লালবাজারে ডেকে পাঠানো হচ্ছে, অভিযোগ বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের। বুধবার নতুন বাড়ির পাশেই চা চক্রে বসতে গিয়ে দিলীপ ঘোষের উপর হামলার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব থানায় অভিযোগ করছেন।
*পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও বিষয়টি জানাবেন বলে খবর।
*পরিস্থিতি এমনই যে দিলীপের কাছে ফোন এসেছে স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর।
* সম্প্রতি বাড়ি বদল করেছেন দিলীপ ঘোষ। সল্টলেক থেকে গিয়েছেন নিউটাউনে। ১২ কামরা বিশিষ্ট ফ্লাটে উঠেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
*বুধবার দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেদিন থেকে এই হাউজিং-এ এসেছি, সেদিন থেকে গন্ডগোল শুরু করেছে। একজন ফাঁকা বাড়িতে আমাকে থাকতে দিয়েছেন, যেহেতু আমার নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্য়া বেড়ে গিয়েছে। তাই বেশি জায়গার দরকার। তাই এসেছি।”
*দিলীপবাবুর অভিযোগ, “যেদিন এসেছি সেদিনই লোকাল মাস্তানরা মালিককে এসে চমকে গিয়েছে। জানতে চেয়েছে কেন থাকতে দিয়েছেন? আপনার কি জমির কাগজ আছে? বাড়ির প্ল্যান আছে? এই সব নথি এনকেডিএ ও হিডকোকে জমা করুন। হঠাৎ করে ওদের মনে হল বাড়ির প্ল্যান নেই। এমনকী লালবাজারে পর্যন্ত ডেকে পাঠিয়েছে ওই হাউজিং-এর মালিককে।”
*উল্লেখ্য, এদিন মর্নিং ওয়াক করার সময় সময় দিলীপ ঘোষের দেহরক্ষীদের ঠেলাঠেলি করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর উদ্দেশে “গালিগালাজ” দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। (বিস্তারিত পড়ুন-অমিত শাহর ফোন, দিলীপ ঘোষের বাড়ির মালিককে ‘হুমকি’, নিরাপত্তারক্ষীদের ‘ধাক্কাধাক্কি’!)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
মমতার হুঙ্কারেও অনড় বাসমালিকরা
কলকাতা-সহ রাজ্যের গণপরিবহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। পথে বাস না নামালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিতেও টলানো গেল না বাসমালিকদের সংগঠনের কর্তাদের। বরং তাঁরা মনে করেন, রাজ্য সরকার রিকিউজিশন দিয়ে বাস পথে নামালে তো ভাল। দুটি বাস সংগঠনের মালিকদের বক্তব্য, “ভাড়া বৃদ্ধিই বিকল্প পথ। তাছাড়া কোনও ভাবেই রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব নয়। বরং যাঁরা কথা দিয়েছেন, তাঁরা বাস নামানোর ব্যবস্থা করুক।”
*অন্যদিকে অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতি দাবি করেছে কলকাতা ও শহরতলিতে তাঁদের দেড় হাজার বাস চলছে। যদিও সরকারের ৬ হাজার বাসকে সাহায্য করার তত্ত্ব মানতে চান না তাঁরাও।
*আনলক ওয়ান শুরু হওয়ার পর থেকেই পথে বাস নামানো নিয়ে জটিলতা চলছে। চলছে নানান চাপানউতোর। সরকার ৬০০০ বাসের জন্য মাসে ১৫০০০টাকা করে বিশেষ সাহায্যের কথা ঘোষণা করে। তাতে বাসমালিকরা জানিয়ে দেন, ভাড়া বৃদ্ধিই একমাত্র পথ। প্রয়োজনে সরকারি বাসের ভাড়া অনুযায়ী বেসরকারি বাসেরও একই ভাড়ার দাবি জানানো হয়।
*একদিকে বাসমালিক, অন্যদিকে সরকারি সিদ্ধান্তের টানাপোড়েন চলতে থাকে। ক্রমশ রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমতে থাকে। যার দরুণ ভোগান্তিতে পড়ছেন রাস্তায় কাজে বেরনো সাধারণ মানুষ। শেষমেশ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পথে বাস নামানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। সরকার প্রয়োজনে বেসরকারি বাস পথে নামানোর ব্যবস্থা করবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। তবুও বাসমালিকদের সংগঠনের একটা বড় অংশ তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড়।
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রোষে মমতা, 'সংবিধানে আস্থা নেই নেত্রীর'
'সংবিধানে আস্থা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।' এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী আর্জু রাম মেঘওয়াল। তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান 'মা-মাটি-মানুষ' সংকটের মুখে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মতে, ২১শেই বাংলা তৃণমূলের হাতছাড়া হবে।
রাজ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে পারেননি রাজ্যপাল। গত সোমবার জগদীপ ধনকড় তাঁর অসন্তোষের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন আর্জু রাম মেঘওয়াল। মন্ত্রীর বলেন, 'সংবিধানের উপর মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস নেই। অবাক করা বিষয় হল যে, আচার্য হওয়া সত্বেও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেন না।'
* এক ভার্চুয়াল সভায় ২০১৯ সালের লোকসভায় বাংলায় বিজেপির সাফল্য তুলে ধরে মেঘওয়াল বলেন, '১৯-এ হাফ ও ২১-শে সাফ স্লোগান দিয়েছিল বিজেপি। লোকসভায় বাংলায় তৃণমূল অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। স্লোগান বাস্তবায়িত হবেই। ২১ সালে বাংলা থেকে বিদায় নেবে তৃণমূল।'
* সভায় উপস্থিত আরেক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করে বলেন যে, 'মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে তৃণমূল নেত্রীর মত আচরণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর দুর্ভাগ্য যে, বাম ও তৃণমূল মিলিয়ে গত ৪৩ বছর ধরে রাজ্যের কোনও উন্নয়ন হয়নি।'
আসানসোলের সাংসদের দাবি, 'বাম শাসনের সব বাজে দিকগুলোই দিদি গ্রহণ করেছেন।' মোদীকে অনুসরণ করে বাংলার উন্নয়নে দিদিকে 'স্পিড ব্রেকার' বলেও কটাক্ষ করেন বাবুল সুপ্রিয়। Read in English
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
আনলক ২ এর প্রথমদিনে খুলল কালীঘাট মন্দির
আনলক ২-এর শুরুতেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল কালীঘাট মন্দিরের দরজা। তবে ১০ ফুট দূর থেকে দর্শন করার সুযোগ পাবেন পূণ্য়ার্থীরা। আনলক ওয়ান থেকেই ধীরে ধীরে একের পর এক মন্দির খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ আনলক ওয়ান চলাকালীন মন্দির খুলতে দ্বিধাবোধ করেন বলে জানা যায়।
*এরপরই মন্দিরের কর্তৃপক্ষদের নিয়ে চলতে থাকে দফায় দফায় বৈঠক। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আনলক ২ এর প্রথম দিন থেকেই খোলা হবে মন্দির।
*তবে ১০ জনের বেশি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। অনেক দূর থেকেই মা কালী দর্শন করতে হবে। গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকবে। প্রদীপ ধরানোর জায়গা পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই মাকে দর্শন করতে দেওয়া হবে।
*জানা যাচ্ছে, নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হবে। মঙ্গলবার রাতে গোটা মন্দির চত্বর স্যানিটাইজ করা হয়। মন্দিরের একটি মাত্র গেট দিয়ে প্রবেশ করানো হবে ভক্তদের।
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
বিদ্য়ুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপি যুব মোর্চার বিক্ষোভ
বিদ্য়ুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি যুব মোর্চা। এদিন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি যুব মোর্চা। জানা যাচ্ছে, এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সিএসসিই ঘেরাওয়ের কথা ছিল যুব মোর্চার। তবে, যুব মোর্চার বিক্ষোভ মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।
বাংলার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে