আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় জেলায় কীভাবে প্রচার হবে এবং সাংবাদিক বৈঠকের বিষয়বস্তু কী হবে তাও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দ্বারাই ঠিক করে দেওয়া হল। এদিকে স্মার্টকার্ড ব্যবহারে জোর দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো। অন্যদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার পরিবহণ দফতরে জানিয়ে দেবে তাঁরা সরকারি সাহায্য নেবে না। এবার রাজ্যের বিরোধী নেতৃত্বের দাবি, ২১ জুলাই সমাবেশে লোক হবে না জেনেই শহিদ দিবস ‘স্যাক্রিফাইস’ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এক এক করে...
প্রচার এবং বৈঠকের বিষয়যস্তু তৈরি করল তৃণমূল
বিভিন্ন ইস্যুতে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও সমন্বয়কারিরা সাংবাদিক বৈঠক করেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় জেলায় কীভাবে প্রচার হবে এবং সাংবাদিক বৈঠকের বিষয়বস্তু কী হবে তাও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দ্বারাই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।এদিনের বৈঠকে পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, পরিযায়ী শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির কড়া সমালোচনা করা হয়।
কী বলবেন তৃণমূলের জেলা সভাপতিরা?
* ভারতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি
* গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দেওয়া
* পিএম কেয়ার্স ফান্ড
* বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি
* সংবাদমাধ্যম এবং ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ
* জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্কলাপে পুলিশের ভূমিকা
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
টোকেন ছেড়ে স্মার্ট কার্ড ব্যবহারে জোর দিচ্ছে মেট্রো
স্মার্টকার্ড ব্যবহারে জোর দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো। যেহুতু হাতে হাতে টোকেন নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। সেই প্রবণতা এড়াতে স্মার্টকার্ড ব্যবহার যাতে বেশি হয় সেই নিয়েই ভাবনা চিন্তা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যবস্থায় যাত্রীদের মধ্যে স্পর্শজনিত সংক্রমণ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
১ জুলাই থেকে মেট্রো চালানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "স্বাস্থ্য বিধি মেনেই মেট্রো চালানো হবে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আলোচনার পর্ব চলছে। কবে থেকে মেট্রো চালু করতে হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি। তবে সংক্রমণ এড়াতে কী কী করা হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। আগেও আমরা জানিয়েছি টোকেন ব্যবহার না করে স্মার্টকার্ড ব্যবহার করা উচিত। মেট্রো চলাচল শুরু হলে স্মার্টকার্ডের ব্যবহার বেশি করার চেষ্টা করা হবে"।
মমতা সরকারের টাকা নেবে না, ক্ষুব্ধ বাস মালিক সংগঠন
বাস-মিনিবাস তিন মাসে ১৫ হাজার টাকা করে পাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে, শুক্রবার এমনই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন কলকাতার ৩১টি রুটের বাসমালিকদের সংগঠনের বৈঠকে মাত্র একজন সদস্য রাজ্য সরকারের সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। বাকি ৩০টি রুটের প্রতিনিধিরা সম্মত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
* জানা যাচ্ছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার পরিবহণ দফতরে জানিয়ে দেবে তাঁরা সরকারি সাহায্য নেবে না এবং ফের বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দেবে সরকারকে।
* তাঁরা মনে করেন, একমাত্র বাসের ভাড়া বাড়িয়েই সমস্যা সুরাহা সম্ভব। তাছাড়া অন্য বাস মালিকদের সংগঠনও মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি হননি বলে খবর।
* সরকারের দেওয়া ১৫ হাজার টাকায় কিছু হবে না বলেই মনে করেন বাসমালিকরা। ওয়েস্ট বেঙ্গ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ বসু বলেন, “শ্রমিকদের ২৪ শতাংশ কমিশন দিতে হবে মাসে ৩৬০০টাকা। পুলিশ কেসের জন্য দিতে হয় প্রতিদিন ৩০০টাকা। আমাদের কী থাকবে? তার জন্যই ১৫ হাজার টাকা নিচ্ছি না।
* জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট এবং অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি নয়। সিন্ডিকেটের সদস্যরা রবিবার বৈঠকে বসবেন। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
‘স্যাক্রিফাইস’ নয়, একুশে জুলাইয়ে লোক হবে না, দাবি বিরোধীদের
একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস ‘স্যাক্রিফাইস’ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। একথা বলে বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনে রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। মমতার এই বক্তব্যে রে রে করে উঠেছে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্যের বিরোধী নেতৃত্বের দাবি, ২১ জুলাই সমাবেশে লোক হবে না জেনেই এসব কথা বলছেন তিনি।
বিরোধীদের দাবি, লকডাউনের নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তাঁরা কর্মসূচি পালন করছে। বিরোধীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এই কর্মসূচি। রেশনে দুর্নীতি, আমফানের ত্রাণ নয়ছয়, এসবের প্রতিবাদ জানাতেই পথে নামা। প্রকাশ্যে তেমন একটা কর্মসূচি নিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ভার্চুয়াল মিটিং বা জয়েনিং কর্মসূচি হচ্ছে নানা জায়গায়। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা নিয়ে নানা ক্ষেত্রেই প্রশ্ন রয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সধারাণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “আসলে ২১ জুলাই লোকজনই হবে না। মূলত এই আশঙ্কায় কর্মসূচি করতে চাইছে না তৃণমূল নেত্রী। আর লকডাউন ভাঙার কথা বলছেন, প্রথমে উনিই লকডাউন ভেঙেছেন। হাসপাতালে, বাজারে ঘুরেছেন। গন্ডী কেটেছেন। তখন আশেপাশে লোক জমায়েত হয়নি?”
দলের পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “২১ জুলাই বা অন্য যে কোনও কর্মসূচিতে এক লক্ষ লোক জোগার করার হিম্মত বা ক্ষমতা তৃণমূলের আর হবে না। সেই কারণে কায়দার কথা বলছে। লকডাউইন এরাজ্যে প্রথম ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। রাস্তায় দলে দলে লোক নিয়ে খড়ি কেটেছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন