পশ্চিমবঙ্গের নয়া রাজ্যপাল হিসাবে বুধবার রাজভবনে শপথগ্রহণ করলেন সি ভি আনন্দ বোস। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা। কিন্তু তাল কাটল বিরোধী শিবিরে। রাজ্যপালের শপথগ্রহণে আসলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। যিনি সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনও অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালকে নালিশ জানান, তিনি-ই কি না রাজভবনে গরহাজির।
Advertisment
শপথ নিচ্ছেন রাজ্যপাল। ছবি- পার্থ পাল
এদিকে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন রাজভবনে। তাঁর মিঠুনের সঙ্গে আজ থেকে জেলায় জেলায় সাংগঠনির সফরের কথা ছিল। কিন্তু মহাগুরুকে ছেড়ে সোজা রাজভবনে সুকান্ত। তা ঘিরেই নয়া জল্পনা তৈরি হয়েছে শুভেন্দু-সুকান্তর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে। অন্যদিকে, শুভেন্দুর সাফাই, দলত্যাগী বিধায়কদের পাশে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাই তিনি রাজ্য সরকারের তথ্য-সংস্কৃতি দফতরকে নিশানা করে শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি বলে টুইট করেছেন। তবে এটাই আসল কারণ কি না তা স্পষ্ট নয়।
In an absolutely disgraceful instance of uncourteous politics; the LoP has been made to sit next to 'soon to be disqualified' MLAs Krishna Kalyani & Biswajit Das. Both got elected on BJP tickets & later defected to TMC, so Anti-Defection proceedings are going on against them. pic.twitter.com/aOtvaO8iNR
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022
Advertisment
উল্লেখ্য, সোমবার মহিলা মোর্চার প্রতিবাদ মিছিলের পর ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল সুকান্ত এবং শুভেন্দুর। কিন্তু মাঝপথেই উঠে বেরিয়ে যান সুকান্ত। এমনকী বিকেলে দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে সুকান্ত থাকলেও ছিলেন না শুভেন্দু। মঙ্গলবারও দলের বিধায়কদের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক ছিল সুকান্তর। তার আগে বিধানসভায় শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধায়করা ডেঙ্গু নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যান বিধায়করা। কিন্তু সুকান্ত বিধানসভায় ঢোকার আগেই চলে যান শুভেন্দু। সুকান্তর অবশ্য সাফাই ছিল, ওঁর অন্য কাজ ছিল তাই বেরিয়া গেছে।
এদিন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতি বিড়ম্বনায় ফেলেছে বঙ্গ বিজেপিকে। রাজভবনের রীতি ভাঙার শামিল। এর আগে যখনই নয়া রাজ্যপাল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন উপস্থিত থেকেছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেই প্রথা ভাঙলেন শুভেন্দু। তার মধ্যে এবার সুকান্তর সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াই নিয়ে জোর জল্পনা বাংলার রাজনীতিতে।