West Bengal news today updates:
রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর ডাকা সর্ব দলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন সিপিএমের মহঃ সেলিম, বিজেপির জয়প্রকাশ মিশ্র, কংগ্রেসের সোমেন মিত্র এবং তৃণমূলের তরফ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা না বলে রাজভবন ত্যাগ করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে বৈঠক শেষে রাজভবনের বাইরে এসে বিরোধীরা বলেন, আলোচনা পর্ব ফলপ্রসু হয়েছে। বিজেপির জয়প্রকাশ মিশ্র জানান, মূলত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা। তবে আর কি কি বিষয়ে কথা হয়েছে তা প্রকাশ করতে চাননি কেউই। রাজ্যপালের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় সিপিএম,বিজেপি এবং কংগ্রেস। বৈঠক শেষে রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিএম নেতা মহঃ সেলিম বলেন, " রাজ্যে যা হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। এভাবে একটা রাজ্য চলতে পারেনা"। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সোমেন মিত্র বলেন, "এ ধরণের ঘটনা রাজ্যে এর আগে কখনোই হয়নি। যে হিংসা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে তা বন্ধ হওয়া উচিত। এই ঘটনার জন্য দায়ী বর্তমান রাজ্য সরকার"।
এদিন, এসএসকেএম হাসপাতালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগী এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমারজেন্সীতে পৌঁছে অপেক্ষারত এক রোগীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের। "উই ওয়ান্ট জাস্টিস" স্লোগান তুলে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। সমস্ত আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " আজকে ৪ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষদের জন্য কাজ করতে হবে। কাজ না করলে হোস্টেল খালি করারও ব্যবস্থা করা হবে। কোনও রকম সরকারি সাহায্য করা হবে না। মানুষকে পরিষেবা দেওয়া ডাক্তারদের কাজ"। স্লোগানের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা " আমি ধিক্কার জানাই, এরা জুনিয়র ডাক্তার না। যত নেতা আছে ধরে নিয়ে আসুন"।
বাংলায় অশান্তি নিয়ে এবার হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। আজ বাংলার ৪ রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে রাজভবনে বৈঠকে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় বৈঠক হওয়ার কথা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবিস্তারে পড়ুন বাংলায় অশান্তি নিয়ে হস্তক্ষেপ রাজ্যপালের, কাল রাজভবনে ৪ দলকে নিয়ে বৈঠক
Live Blog
West Bengal and Kolkata news today updates of weather, traffic, train services and airlines কলকাতার সব খবরের আপডেট, Follow the update:
বিজেপির লালবাজার অভিযানকে ‘কড়া’ হাতে প্রতিহত করল পুলিশ। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ- এই তিন কৌশলেই বিজেপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের রণংদেহী অবতার দেখে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে বাধ্য হন দিলীপ ঘোষরা। লালবাজারে না গিয়েই শেষমেশ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকেই মূলত এদিনের কর্মসূচিতে ইতি টানেন দিলীপ ঘোষরা। ততক্ষণে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামানের দাপটে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিস্তারিত পড়ুন তুলকালাম কলকাতা, বিজেপির মিছিলে জলকামান-কাঁদানে গ্যাস
বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা না বলে রাজভবন ত্যাগ করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরের জবাবও দেননি তিনি।
সারদা সহ বিভিন্ন চিটফান্ডের তদন্তে অগ্রগতি আনতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে এলেন সিবিআই এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও। বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নাগেশ্বর রাও। উঠতে পারে রাজীব কুমার প্রসঙ্গও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা নাগাদ এসএসকেএমে পৌঁছে মমতা বলেন, রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে যোগ না দিলে পুলিশ দিয়ে হস্টেল ও হাসপাতাল চত্বর খালি করে দেওয়া হবে। এনআরএসকাণ্ডে পাঁচজনকে গ্রেফতার কারার পরেও কেন ডাক্তাররা এমন অনড় অবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম চত্বর ছাড়ার পরই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিশেষ পুলিশ বাহিনী। এদিন, এনআরএসের ডাক্তারদের 'বহিরাগত' বলেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। সবিস্তারে পড়ুন এনআরএসকাণ্ডে সময় বেঁধে দিয়ে ডাক্তারদের চরম হুঁশিয়ারি মমতার
এসএসকেএমে পৌঁছোলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এদিন এসএসকেমে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের জেরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কন্যার এমন মন্তব্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এনআরএসকাণ্ডে এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ রাজ্য। বুধবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে ডাঃ শাব্বা হাকিম লেখেন, ‘‘এ রাজ্যের সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বয়কট করেছেন ডাক্তাররা। কিন্তু জরুরি বিভাগে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি... সবিস্তারে পড়ুন এনআরএসকাণ্ডে তৃণমূলের জন্য ‘লজ্জিত’ ববি কন্যা
সমস্ত আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' আজকে ৪ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষদের জন্য কাজ করতে হবে। কাজ না করলে হোস্টেল খালি করারও ব্যবস্থা করা হবে। কোনও রকম সরকারি সাহায্য করা হবে না। মানুষকে পরিষেবা দেওয়া ডাক্তারদের কাজ। আমি পুলিশকে বলব এখানে পেশেন্ট ছাড়া আর কেউ থাকবে না"।
এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। অপেক্ষারত রোগীদের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। এদিন এমারজেন্সী থেকে মেইন ব্লকে পৌঁছালে স্লোগানের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। "উই ওয়ান্ট জাস্টিস" স্লোগানে বিরোধিতা আন্দোলনকারীদের।
সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক হিংসায় ৩ জনের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই উত্তেজনার আবহে নয়া সংযোজন এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনা। নীলরতন সরকার হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহ নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। পরশু দিন থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কার্যত থমকে চিকিৎসা পরিষেবা। যার জেরে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। আর এ ঘটনায় এখনও নিশ্চুপ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর মমতা সরকারকে নিশানা করতে এবার এনআরএসকাণ্ডকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। বিস্তারিত পড়ুন সন্দেশখালির পর এনআরএস, বিরোধীদের জোড়া ফলায় মমতা
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসেও গলল না বিক্ষোভের বরফ। বদলালো না নীলরতন সরকার হাসপাতালের আন্দোলনের ছবি। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলনের ৩৬ ঘন্টা পরেও হাসপাতালে জারি অচলাবস্থা। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই বিষয়টি দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। বিবৃতিতে বলা হয়, “এনআরএস হাসপাতালের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সবরকম প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জামিন নাকচ করে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিস্তারিত পড়ুন অচল এনআরএস, আন্দোলন প্রত্যাহারের আবেদন মমতার
"রাজ্যের অবস্থা যে ভয়াবহ অরাজকতার দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে, এ তারই এক লজ্জাজনক নিদর্শন। এ আক্রমণ শুধু চিকিৎসক সমাজের ওপর নয়, গোটা সমাজের ওপরই। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, শক্ত হাতে এই অবস্থার নিরসন করার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। চিকিৎসক সমাজ নিরুপায়ভাবে সাময়িক কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। দূরদূরান্ত থেকে যেসব অসহায় রোগীকে নিয়ে তাঁদের পরিজনেরা আপনাদের কাছে এসে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা অনেকেই চিকিৎসকদের আজ পর্যন্ত ঈশ্বরতুল্য জ্ঞান করেন। তাঁরা যদি এভাবে প্রতিহত হন আর এর ফলে হঠাৎ কোনও দুর্যোগ যদি ঘটে যায়, তবে তা তো আপনাদেরও কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমি অনুরোধ করছি আপনারা এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করুন। তার মানে এই নয় যে প্রতিবাদ ক্ষোভ এতে রুদ্ধ হয়ে যাবে। বরং সমাজের সর্বস্তরের বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে নিয়ে একত্রে চলবে এই প্রতিবাদ। এই মর্মে সমস্ত মানুষকে সঙ্গে আপনাদের এই আন্দোলন চলুক, সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের কাজটুকুও চলুক। আপনারা আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন গ্রহণ করবেন।"
রাজ্যের প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সঙ্গে হাত মেলাল অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।
এনআর এসের জের মালদা মেডিক্যাল কলেজে। গতকাল রাত্রে সেখানে আন্দোলনরত ডাক্তাদের উপর হামলা চালায় কয়েকজন বহিরাগতরা।