২০২১ বিধানসভার পর কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় পথ দেখিয়েছিলেন ঘরে ফেরার। তারপর একে একে আরও ৫ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। এই সময়কালের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ককে তলব করেছে সিবিআই ও ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, পলাশির বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। এদিকে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ফের এরাজ্যে আসতে শুরু করেছেন পদ্মশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিবার রাজ্যের দু'জায়গায় জনসভা করে গেলেন জেপি নাড্ডা। এসেছেন স্মৃতি ইরানি, এরপর আসবেন অমিত শাহ।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির ৬ জন বিধায়ক আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণনগরের মুকুল রায়, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। চলতি মাসেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। যদিও বিধানসভায় এঁরা এখনও বিজেপি বিধায়ক।
ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় একাধিক বিধায়ককে তলব করা হয়েছে। দুর্গাপুরের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হয়েছেন অভিজিৎ সিংহ, চন্দ্রনাথ সিনহা, অভিজিৎ রায়, শাহনওয়াজ হোসেন, খোকন দাস-সহ একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। শিক্ষা-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় সংস্থা গ্রেফতার করেছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, মানিক ভট্টাচার্য, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থা একাধিকবার তলব করেছিল তৃণমূলের রাজ্য যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তারপরই এরাজ্যে দফায় দফায় ফের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসতে শুরু করেছেন। একেই সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, পরের বছরই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি বিধায়করা ক্রমশ দলত্যাগ করলে রাজ্যের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়তে পারে। স্বভাবতই টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি। সঙ্গে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃত্বের আগমন ঘটছে এরাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেস তো বরাবরই দাবি করে এসেছে, প্রতিহংসামূলক রাজনীতির বশেই তাঁদের মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতাদের তলব ও গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।