/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/11/HcAWDfb3kh8IKWNKi7Uv.jpg)
Saline Controversy: বিষাক্ত স্যালাইনে ৩ প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক
Saline Controversy update: বিষাক্ত স্যালাইনে ৩ প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সংক্রমণের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে না। ঠিক মতো কাজ করছে না ফুসফুস ও কিডনি। ক্ষতি হয়েছে তাঁদের ফুসফুস ও কিডনির। ৩ প্রসূতির চিকিৎসার দায়িত্বে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। SSKM হাসপাতালের ITU-তে রয়েছেন এক প্রসূতি নাসরিন খাতুন। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি বাকি দুই প্রসূতি মাম্পি সিংহ ও মিনারা বিবি।
এদিকে, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে সোমবার প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্তকারী কমিটির। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্য সরকারের কড়া অবস্থানের কথা জানালেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ঘটনায় গাফিলতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করবে বলে জানান।
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি স্যালাইন কাণ্ডে তদন্ত চালাবে। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে 'নিষিদ্ধ' স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তারই জেরে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযোগ আরও চার প্রসূতির মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাংঘাতিক সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তদন্তকারী দল শনিবার মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায়।
আরও পড়ুন 'দোষীদের কোনও ছাড় নয়', স্যালাইন-কাণ্ডে কড়া মনোভাব রাজ্যের, কী জানালেন মুখ্যসচিব?
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন একের পর এক প্রসূতি। শুক্রবার সকালে তাঁদেরই মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। মৃত প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হয়। স্যালাইনের সমস্যাতেই এমন বিপত্তি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। ভর্তি থাকা প্রসূতিদেরও আত্মীয়রাও অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এমন কাণ্ড।
সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে মুখ্যসচিব বলেন, 'কোনওরকম গাফিলতি আমরা বরদাস্ত করব না। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ হবে। যাঁরাই দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ছাড় পাবে না কেউই।'