Saline Controversy: রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি স্যালাইন কাণ্ডে তদন্ত চালাবে। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে 'নিষিদ্ধ' স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
Saline Controversy: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এই 'নিষিদ্ধ' স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে
West Bengal Saline Controversy: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতিদের নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন মহিলাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা চলছে। এই অবস্থায় গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্তকারী কমিটির। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্য সরকারের কড়া অবস্থানের কথা জানালেন। সোমবার তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ঘটনায় গাফিলতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করবে বলে জানান।
Advertisment
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি স্যালাইন কাণ্ডে তদন্ত চালাবে। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে 'নিষিদ্ধ' স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তারই জেরে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযোগ আরও চার প্রসূতির মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাংঘাতিক সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তদন্তকারী দল শনিবার মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায়।
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেছেন, "যে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাচ নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। ওই টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখবে।" কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।
Advertisment
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন একের পর এক প্রসূতি। শুক্রবার সকালে তাঁদেরই মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। মৃত প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হয়। স্যালাইনের সমস্যাতেই এমন বিপত্তি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। ভর্তি থাকা প্রসূতিদেরও আত্মীয়রাও অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এমন কাণ্ড।
সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে মুখ্যসচিব বলেন, 'কোনওরকম গাফিলতি আমরা বরদাস্ত করব না। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ হবে। যাঁরাই দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ছাড় পাবে না কেউই।'