/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/01/election-commission-of-india-publishes-draft-electoral-rolls-for-bihar-following-sir-2025-08-01-16-45-54.jpg)
২০০২ সালের ভোটার তালিকা নিয়ে কুলপিতে চাঞ্চল্য, SIR-এ তা কি বড় ভূমিকা নেবে?
Election Commission: পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশন যদি বিহার মডেল অনুসরণ করে, তাহলে ২০০২ সালের বিশেষ ভোটার তালিকা বড় ভূমিকা নিতে পারে। কারণ বিহারে SIR-এর সময় যাদের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় ছিল, তাদের আলাদা করে ১১টি নথি জমা দিতে হয়নি। সেই কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বাংলাতেও ২০০২ সালের SIR তালিকায় নাম থাকলে ভোটারদের নথি নিয়ে দুশ্চিন্তা কিছুটা কমতে পারে।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ceowestbengal-এর অফিসিয়াল সাইটে আপলোড হয়েছে। ফলে রাজ্যের ভোটাররা অনলাইনে চেক করে নিতে পারছেন, তাদের নাম সেই তালিকায় আছে কি না।
কিন্তু এরই মধ্যে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভায়। সম্প্রতি মুখ্য নির্বাচনী অফিস অনলাইনে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভার মধ্যে ২৯৩টির ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। একমাত্র কুলপির ২০০২ সালের তালিকা অনলাইনে নেই। শুধু তাই নয়, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হার্ড কপিও সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এই ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে কুলপির নদীতীরবর্তী গ্রামগুলোতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দুই দশকে একাধিকবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্লাবনে তারা বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়েছেন। অনেকের হাতে ভোটার তালিকার প্রমাণপত্রও নেই। যদি SIR-এ ২০০২ সালের তালিকার ভিত্তিতে যাচাই হয়, আর সেই তালিকা না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিপদে পড়তে হতে পারে।
রাজ্যজুড়ে যখন SIR-এর নোটিফিকেশন প্রকাশের অপেক্ষা, তখন কুলপির এই তালিকা-সংকট এলাকায় ভোটারদের মধ্যে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।