দুর্নীতির অভিযোগে বাংলার আরও এক পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ তৃণমূল নেতৃত্বের। দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখে এবার সেই প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ দিল জোড়াফুল শিবির। এক ডাকে অভিষেক হেল্পলাইনে অভিযোগ জমা পড়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এস কে সেলিম আলিকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাঁথিতে জনসভা করতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক ডাকে অভিষেক হেল্পলাইন ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন। সেখানেই সাধারণ মানুষ সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে শাসকদলের পক্ষ থেকে। সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়ার পর থেকে দলীয় স্তরে সেলিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়। তার পরই তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয় বলে তৃণমূলের দাবি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে গ্রামে দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্য জনসভায় দুর্নীতিগ্রস্তদের ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেন তৃণমূল সাংসদ। নির্দেশ না মানলে দলে ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন।
আরও পড়ুন আবাস যোজনার বাড়িই জামালপুরে তৃণমূলের উন্নয়ন ভবন! পথে নামছে বাম-বিজেপি
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই অভিষেকের নির্দেশের পর পদত্যাগ করেন মারিশদা ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন মাথা। পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র। ৪৮ ঘণ্টা ডেডলাইন পেয়েছিলেন তিনজন। তার আগেই তাঁরা পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এবার শান্তিপুরের পঞ্চায়েত প্রধান কী করেন সেটাই দেখার।