মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ফুটবলার মেহতাব হোসেন, ২৪ ঘণ্টা না পার হতেই বুধবার ফেসবুক পোস্ট করে মিডফাল্ডার জেনারেল জানিয়ে দিলেন তিনি রাজনীতি ছাড়লেন। এদিকে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির কৌশল রচনা করতে দিল্লি ছুটেছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ফের বাংলায় বৃহস্পতি ও শনিবার সম্পূর্ণ লকডাউন। তার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। এবার ডিজেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় সপ্তাহে এক দিন তা কিনবেন না বাসমালিকরা। ফের করোনা আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের আর এক বিধায়ক।
একদিনেই বিজেপি ছাড়লেন মেহতাব
কলকাতা ফুটবল ময়দানের প্রাক্তন নক্ষত্র মেহতাব হোসেন একদিনেই বিজেপি ছাড়লেন। ২১ জুলাই, মঙ্গলবার তৃণমূলনেত্রীর ভাষণের পর কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরে হাজির হয়েছিলেন কলকাতা ফুটবল মাঠের মিডফিল্ডার জেনারেল। একেই জনপ্রিয় ফুটবলার, তারওপর সংখ্য়ালঘু। চমক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। মেহতাবের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন দলের সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। বুধবার জয়প্রকাশবাবু দাবি করেন, "তৃণমূলের চাপে পড়েই মেহতাব বিজেপি ছেড়েছে।" বুধবার ফেসবুক পোস্ট করে মেহতাব হোসেন জানিয়ে দেন তিনি বিজেপি ছাড়ছেন। কেন ছাড়ছেন সেকথাও বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, "আজ থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি যুক্ত নই। আমার এই সিদ্ধান্তের জন্য আমার সকল শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।"
পড়ুন বিস্তারিত প্রতিবেদন- সেমসাইড! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি ছাড়লেন মেহতাব
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
একুশের কৌশল রচনায় দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপি
২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য শেষ হতেই ২০২১ বঙ্গ বিজয়ের উদ্দেশ্যে দিল্লিতে গেলেন রাজ্য বিজেপির একাধিক শীর্ষ ও জেলা নেতৃত্ব। ইতিমধ্য দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক রাজ্য নেতা। জানা গিয়েছে, বিশেষত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সার্বিক কৌশল, দায়-দায়িত্ব ও দলের সাংগঠনিক পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক হবে।
উড়ান ধরার আগে বুধবার সকালে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "পশ্চিমবাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ ও মেননজি বৈঠকে থাকবেন। তাঁরা তিন মাস ধরে এখানে আসতে পারেননি। দিল্লিতে সাংগঠনিক পরিস্থিতি, বিভিন্ন কর্মসূচি ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে। ৪-৫ দিন ধরে নানা স্তরে বৈঠক চলবে।" সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে বাংলার শীর্ষ নেতৃত্বের।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত কৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক। সেখানে রাজ্য ও জেলা স্তরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আলাদা আলাদা করে বৈঠক হবে। বিজেপি যেখানে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে অভ্যস্ত সেখানে শশরীরে একাধিক রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের দিল্লিতে হাজিরা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
বৃহস্পতি-শনিবার সম্পূর্ণ লকডাউনের প্রস্ততি
রাজ্য ব্যাপী বৃহস্পতি ও শনিবারের লকডাউনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে পুলিশ-প্রশাসন। ইতিমধ্যে লকডাউন এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতা, শহরতলি ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ-প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হয়। লকডাউনের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা হয়। বুধবার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে পুলিশ আধিকারিকরা রাস্তায় নজরদারি চালাচ্ছেন। যারা মাস্ক পড়ছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা শহরে টানা ৭ দিন লকডাউন শুরু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের নানা শহরে ও এলাকায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন কার্যকরী করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যারা এই লকডাউন মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করা হবে না।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
তৃণমূল বিধায়ক সপরিবারে করোনা আক্রান্ত
এবার করোনা আক্রান্ত হলেন হুগলির তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি তাঁর পুরো পরিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন বিধায়কের স্ত্রী, পুত্র, শশুর, শাশুড়ি, দেহরক্ষী সহ গাড়ির চালক। এদিন স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিধায়কের বাড়ি সানিটাইজ করা হয়। ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূলের এই বিধায়ক চন্ডীতলার সভাতেও ছিলেন। জানা গিয়েছে, সেই সভায় তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক সহ জেলা সভাপতিও উপস্থিত ছিলেন। আজ তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চিন্তা বাড়েছে তৃণমূলে। এর আগে একাধিক তৃণমূল নেতা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, পানাহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
অভিনব প্রতিবাদ, সপ্তাহে একদিন ডিজেল কিনবেন
না বাসমালিকরা
ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব আন্দোলনের পথে বাসমালিকদের সংগঠন। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত, আগামী ২৭ জুলাই ডিজেল কেনা হবে না। শুধু এই রাজ্য নয়, সারা দেশেই এই আবেদন জানিয়েছে সংগঠনের কর্তারা।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ও বিমার টাকা ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রতিবাদে এরাজ্যের বাসমালিকরা একাধিকবার আন্দোলন করেছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বাস নামানো নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বাসমালিক সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধও দেখা গিয়েছে। এমনকী বাসমালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বুধবার জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই প্রথম দেশে ৭৭ টাকা ডিজেলের দাম হয়েছে। আমরা একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা ২৭ জুলাই ডিজেল কিনব না। তারপর অগাস্ট মাস থেকে প্রতি সোমবার ডিজেল কেনা হবে না। তবে যাত্রীরা যাতে হয়রান না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন