প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার জন্য় অনুরোধ করেন। তাছাড়া আমফান ঝডের আরও ৩৫ হাজার টাকার কথাও মনে করিয়ে দেন মমতা। এদিকে ফের কোভিড আক্রান্তের মৃতদেহ বাড়িতে পড়ে রইল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীর তদারকিতে শেষকৃত্য় সম্পন্ন হল। করোনা পরীক্ষার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র বসল কলকাতার নাইসেডে। দিনে ১০,০০০ নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম উন্নত মানের যন্ত্রটির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ফের টুইট যুদ্ধে রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫৩ হাজার কোটি বকেয়া
চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভার্চুয়াল বৈঠকে নবান্ন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বকেয়া টাকা চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, "কোভিডের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি আমাদের কেন্দ্রের কাছে পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিন। এই টাকাটা দিলে আমরা কাজ করতে পারি। আমফানে আপনি এসেছিলেন, সঙ্গে ছিল আপনার দফতরের টিম, তারপর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলও এসেছিল। আমরা আমফান ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। সেই টাকারও এখনও কিছু পাইনি । ইতিমধ্যে সাড়ে ৬হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে আমফানে। আপনার দেওয়া অ্যাডভান্স হিসাবে ১০০০ কোটি টাকা পেয়েছিলাম।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নাইসেডে উন্নতমানের যন্ত্র বসেছে। রাজ্য সহায়তা করবে।" তবে এই ধরনের যন্ত্র সরকারি হাসপাতালে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মমতা। তিনি বলেন, "কোভিড পরীক্ষা রাজ্যে বেড়েছে। আমরা টেলিমেডিসিন চালু করেছি। ১০৬ টা সেফ হাউস করেছি। এই রাজ্যে বিনা পয়সায় করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা দেওয়া হয়।" প্রধানমন্ত্রীকে মমতার প্রশ্ন, "বিপর্যের টাকা খরচ করলে দুর্যোগ এলে কোথায় টাকা পাব?"
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
১৫ ঘণ্টা পর মন্ত্রীর নির্দেশে করোনা রোগীর সৎকার
এবার বেহালার সাহাপুর মেইন রোড। করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে রইল ১৫ ঘণ্টা। এর আগে কখনও দোকানে, কখনও বাড়িতেই এমনকী রাস্তার ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা করোনা আক্রান্তদের মৃতদের পড়ে থাকার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, প্রশাসন ও স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলরকে মৃতদেহ সরানো নিয়ে জানানো হলেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি। শেষমেশ স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তদারকিতে মৃতদেহ সৎকার করা সম্ভব হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ৬২ বছরের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়। ওই পরিবারের আরও তিনজন সদস্য করোনা আক্রান্ত। বাকিরাও কোয়ারেন্টাইনে। তাই কারও বাইরে বেরনোর কোনও উপায় ছিল না। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও বাড়ি থেকে শেষকৃত্যের জন্য স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ-প্রশাসন বা বিদায়ী কাউন্সিলর কেউই এগিয়ে আসেনি। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সক্রিয় হয় পুলিশ। রবিবার রাত ১২টায় মৃত্যু হওয়ার পর সোমাবর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃতদেহ বাড়ি থেকে বের করা হয়। পার্থ চট্য়োপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "আমার নজরে আসার পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তাদের ফোন করেছি। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছি। কাউন্সিলর যদি কাজ করে না থাকে তাহলে ঠিক করেননি।"
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
একদিনে একযন্ত্রে করোনা পরীক্ষা ১০হাজার
করোনা পরীক্ষার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র বসেছে কলকাতার নাইসেডে। দিন কয়েক আগে এই যন্ত্রটি এসেছে। জানা গিয়েছে, দিনে ১০,০০০ নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে এই যন্ত্রটি। দিল্লি থেকে এই উন্নত মানের যন্ত্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা পরিস্থিতিতে এরাজ্যে প্রথম পরীক্ষা হত একমাত্র কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেডে। তারপর একে একে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
প্রতিবেদনটি বিস্তারিত পড়ুন- এক যন্ত্রেই দিনে দশ হাজার করোনা পরীক্ষা কলকাতায়
ফের টুইট যুদ্ধে রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী
ফের টুইট দ্বন্দ্বে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা ব্যবস্থা কী হবে তা নিয়ে এখনও অনিয়শ্চয়তা রয়েছে। রাজ্যপালের টুইটে পাল্টা জবাব দেন পার্থ। প্রথমে রাজ্যপাল টুইট করে বলেন, "পড়ুয়াদের স্বার্থ সবার আগে দেখা উটিত। ইউজিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ৩০ জুলাই দিল্লি হাইকোর্ট ও ৩১ জুলাই বম্বে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে। উপাচার্যদের সামনে ঢাল হয়ে না দাঁড়িয়ে মামলার দিকে নজর দিন। মনে রাখবেন, উপাচার্যদের কাজের উপর নজর রাখা হচ্ছে।"
ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থই সর্বোচ্চ। আপনাদের উদ্বেগ সারাক্ষণ মাথায় আছে। UGC চেয়ারম্যান জানিয়েছেন---- সোমবার সুপ্রিম কোর্ট, ৩০ জুলাই দিল্লি হাইকোর্ট এবং ৩১ জুলাই বোম্বে হাইকোর্টে মামলা উঠবে। (1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 26, 2020
@MamataOfficial @itspcofficial উপাচার্যদের ঢাল হিসাবে না দাঁড়িয়ে এদিকে দৃষ্টি দিন। উপাচার্যদের কাজকর্মের উপর নজর রাখা হচ্ছে।(2/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 26, 2020
ধন্যবাদ মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়। আমার মনে হয় পুরনো কাসুন্দি ঘাটছেন কেন ?? UGC তো নিজেই ৬ তারিখের বিবৃতি বাতিল করতে পারত। কোর্টের অপেক্ষা কেন ?? রাজ্যের সার্বিক কল্যাণে মন দিন। বাংলার ছাত্র সমাজের ভবিষ্যতকে ঢাল করবেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে UGC সাড়া দিক।
— Partha Chatterjee (@itspcofficial) July 26, 2020
এরপরই পাল্টা জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, "ধন্যবাদ মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়। আমার মনে হয় পুরনো কাসুন্দি ঘাটছেন কেন ?? UGC তো নিজেই ৬ তারিখের বিবৃতি বাতিল করতে পারত। কোর্টের অপেক্ষা কেন ?? রাজ্যের সার্বিক কল্যাণে মন দিন। বাংলার ছাত্র সমাজের ভবিষ্যতকে ঢাল করবেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে UGC সাড়া দিক"।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
ভর্তিতে পরীক্ষা চায় এসএফআই
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির পরীক্ষা বজায় রাখার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে এসএফআইয়ের সদস্যরা। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "এবার অ্যাডমিশন টেস্ট নেওয়া বেশি জরুরি। কারণ এবছর পরীক্ষা না হওয়া কিছু বিষয়ে গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে। ফলে ভর্তিতে পরীক্ষা না হলে সঠিক যোগ্যতা মান যাচাই করা সম্ভব হবে না। প্রয়োজনে হোম সেন্টার বাড়াতে হবে।"
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
রাজ্য়জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি
সকাল থেকেই আকাশের মুখভার ছিল। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই শোনা গিয়েছে মেঘের গর্জন। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃষ্টি আপাতত চলবে।
*হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্য়ুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
*আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামিকাল উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন