ভরা পৌষেও অধরা শীত। সংক্রান্তির আগেই কার্যত বেপাত্তা ঠান্ডা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে পৌষ সংক্রান্তিতেও আবহাওয়ার বিশেষ বদল হবে না। মকর সংক্রান্তির দিনেও পারদ পতনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে মেঘ-বৃষ্টি বিদায়ের হাত ধরেই ফের একবার নামতে পারে তাপমাত্রা। সপ্তাহান্তে কিছুটা হলেও শীতের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
প্রথমে নিম্নচাপ, তারপর একের এপর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বারবার এরাজ্যে ঢোকার মুকে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। আকাশে মেঘ থাকায় উধাও শীতের আমেজ। মরশুমের কয়েকটি দিন বাদ দিলে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার স্বাদ এবার আপানি বঙ্গবাসী। অস্বস্তি বাড়িয়েছে অকাল-বৃষ্টি।
আগামিকাল পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবারও দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন- West Bengal Covid-19 Omicron Updates: দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যু বাড়লেও বঙ্গে নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেট!
আগামিকাল পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। তবে শনিবার থেকেই আবহাওয়ার বদল হবে। সপ্তাহান্তে ফের একবার পারদ পতনের সম্ভাবনা প্রবল। শনিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। শীতের আমেজ হবে আরও জোরালো। বেশ কয়েকটি জেলায় জোরালো ঠান্ডা অনুভূত হবে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, শনিবার থেকে দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ নেমে যেতে পারে।
এবারের শীত অন্যান্য বছরগুলির তুলনায় জোরালো হওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। বর্ষা যেমন লম্বা ইনিংস খেলেছে, তেমনি শীতও এবার ক্রিজ আঁকড়ে ঝোড়ো ব্যাটিং করবে বলে মনে করেছিলেন আবহাওয়াবিদদের একাংশ। মরশুমের শুরুতে সেই ইঙ্গিত মিললেও একের এপর এক ঝঞ্ঝা, নিম্নচাপের গেরোয় মুখ ঢেকেছে শীত।