দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহে জেরবার সাধারণ মানুষ। সকাল থেকেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঝড়বৃষ্টির মাধ্যমে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চাইছে আম জনতা। এই অবস্থায় আশার বাণী শোনাল আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পরশু অর্থাৎ শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সোম এবং মঙ্গলবার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার ফলে তীব্র গরম থেকে রেহাই মিলতে পারে। আজ, বুধবার এবং আগামিকাল বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষে নেই বঙ্গবাসীর। গরম মারকাটারি ব্যাটিং করতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের উপ অধিকর্তা (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ গণ্টায় গাঙ্গেয়বঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ২ মে থেকে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি হবে এমনটা নয়। কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি কলকাতায়, শহরের নামী এই স্কুলে বন্ধ অফলাইন ক্লাস
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গে চাতকের দশা হলেও উত্তরে দিব্যি সুপ্রসন্ন বরুণদেব। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় গতকাল সন্ধের পর ভাল বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল যেতেও নাজেহাল দশা কচিকাঁচাদের। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তড়িঘড়ি অফলাইন ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত সাউথ পয়েন্টের। আপাতত তিন দিন অফলাইন ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাপপ্রবাহের পরস্থিতিতে ইতিমধ্যেই একাধিক স্কুল গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার পক্ষে সওয়াল করেছে।
প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে। একটানা প্রায় দু’মাস দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দেখা নেই। শহর কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের কোথাও কোথাও ৪২-৪৩ ডিগ্রির কাছে পৌঁছেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ, বুধবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।