করোনা মোকাবিলায় দেশের সঙ্গে রাজ্যজুড়ে চলছে লকডাউন। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন ঠিক মত চলছে কীনা তা পরিদর্শন করতে সোমবার পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। অথচ এদিন লকডাউনের বিধি-নিষেধকে থোরাই কেয়ার করে কয়েকশো মানুষ গাদা-গাদি করে ভিড় জমান পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে। পরে প্রশাসনের চেষ্টার পুলিশি উদ্যোগে ভিড় হঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ন্যাড়া হয়ে প্রতিবাদ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর, কিন্তু কেন?
রাজ্য় সরকার কাজহারানো দিনমজুর ও শ্রমিকদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’প্রকল্প ঘোষণা করেছে। সোমবার এই ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের ফর্ম জমা দিতে মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে ভিড় জমিয়েছিলেন মানুষ। ফর্ম জমা নেওয়া হবে বলে এদিন সরকারী কোনও ঘোষণা ছিল না। হঠাৎ করে ওই ভিড় দেখে হতভম্ব হয়ে যান জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও। শেষমেশ পুলিশ ডেকে ওই জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে হয়। কেন এই বিপত্তি? জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রচেষ্টা ফর্ম সরাসরি জমা নেওয়া হবে, নাকি অনলাইনে জমা নেওয়া হবে তা নিয়ে সরকারী কোনও গাইডলাইন এখনও আসেনি। তার আগেই ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকেই। কেউ বা কারা রটিয়ে দেওয়ায় এই জমায়েত হয়।
আরও পড়ুন- করোনার উৎস? সানন্দে বাদুড় খাচ্ছেন শবররা
লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই জেলা কালেক্টরেটে যাঁরাই ঢুকছেন তাঁদের জন্য় স্যানিটাইজারে হাত ধোওয়ার ব্য়বস্থা রয়েছে। পাশাপাশি থার্মাল স্ক্রিনিংয়েরও করা হচ্ছে। এদিন অফিস টাইম শুরু হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। করোনা মহামারীতে যে সব দিনমজুর, শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন তাদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে নির্দিষ্ট ভাতা দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই ফর্ম ডাউনলোড ও পূরণ করার পর তা জমা দিতে এদিন অনেকেই জেলা কালেক্টরেটে হাজির হয়ে যান। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কোনও সরকারী গাইডলাইন আসার আগে ফর্ম জমা নেওয়া যাবে না বলে জানানোর পরও মানুষজন ফিরে যেতে চায়নি। লকডাউনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই তাঁরা জটলা করতে থাকেন। শেষমেশ পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে গেটের বাইরে বের করে দেয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন