লক্ষ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন। একুশের মহাযুদ্ধে জিতে হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া মমতা বাহিনী। সে কারণেই উনিশের নির্বাচনের ধাক্কা সামলে জনসংযোগে জোর দিয়েছে তৃণমূল। এই আবহেই এবার আদিবাসীদেরও মন পেতে চাইছে মমতা ব্রিগেড। আদিবাসী দিবসে উন্নয়নের লক্ষ্যে পৃথক দফতর গড়ল মমতা সরকার। রাজ্যের আদিবাসীদের উন্নয়নের কাজ তদারিকর জন্যই এই নয়া দফতর তৈরি করা হল বলে জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’, শুনবেন মমতা
শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানান, ‘‘আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। বাংলায়ও আদিবাসী দিবস পালন হয়। আমাদের সরকার বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেছে’’। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একুশের নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূলস্তরের মন জিততে চাইছে শাসক শিবির। সে কারণেই জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নয়নের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মমতা আপনার গর্ব কেন? দিদিকে বলুন
প্রসঙ্গত, উনিশের নির্বাচনে কার্যত বিপর্যয় হয়েছে তৃণমূলে। মমতার বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশের স্বপ্ন চুরমার করে বাংলার ১৮টি আসনে পদ্মফুল ফুটিয়েছে বিজেপি। যেখানে তৃণমূলের হাতে এসেছে ২২টি আসন। লোকসভা নির্বাচনের ‘অপ্রত্যাশিত’ ফলের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে উঠেপড়ে লাগে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের কাজে এবার থেকে বেশি মাথা ঘামাবেন বলে ভোটের ফল ঘোষণার পরপরই জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপরই নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হয় তৃণমূল। তারপর থেকেই পিকের পরামর্শ মেনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মমতা ব্রিগেড। জোরকদমে চলছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। এর মধ্যে আদিবাসীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে মমতা যে পদক্ষেপ করলেন তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Read the full story in English