তাঁদের প্রেম চিরন্তন। চর্চা হয়েছে সুনামির মত। পুজো আবহে সেই প্রেমের ঢেউ আরও বেড়েছে। এবার পুজোয় কী পরিকল্পনা শোভন-বৈশাখীর? প্রাণের 'বন্ধু' শোভন চট্টোপাধ্যায়ের থেকে কী উপহার পেলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়? সাক্ষাৎকারে খোলামেলা শোভন 'বান্ধবী'।
বৈশাখীর পুজো প্ল্যান?
'পুজোর সময় কলকাতা ছাড়ার কথা ভাবতেই পারি না। শোভন কলকাতা থেকে পালাই পালাই করলেও আমার ও মেয়ের অনুরোধ , অত্যাচার সহ্য করে ওকে এখানেই তাকতে হয়। আসলে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঢাকের আওয়াজ শুনলেই আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারিন না। চারদিকে প্রচণ্ড আনন্দ। এই খুশিতেই আমি মজে থাকতে চাই। ঝড়, বৃষ্টি, প্রলয় যাই আসুক প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ি। পুজোর সময় দুপুরে বাড়িতে খাওয়া আর বিকেলে বাইরে খাওয়া। তাই এখন থেকেই আমি আর মেয়ে দেখতে শুরু করে দিয়েছি কোন কোন রেস্তোরাঁয় আমাদের মনঃপুত কী হচ্ছে, সেখানেই হানা দেব। তাই পুজোর কটা দিন দেদার খাওয়া-দাওয়া হবে। আর আমার এ বছর ভীষণ আনন্দ হচ্ছে যে মা আমাদের কাছেই আছেন। অন্যান্যবার পুজোর সময় সন্ধ্যাবেলা সাউথ সিটির ফ্ল্যাটে যাই দেখা করে আসি, কিন্তু এই বছর মা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। দিন গুনছি ষষ্ঠীর আসার।'
আরও পড়ুন- শোভনের সঙ্গে এখন সুখীগৃহকোণ, তার আগে প্রাক্তনীকে ছাড়তে তুকতাকেও রাজি ছিলেন বৈশাখী
শোভন-বৈশাখীর কী কেনাকাটা হয়েছে?
'পুজোয় আমার সাদা-লাল পাড় শাড়ি থাকেই, এবার আমার এক বান্ধবী বেনারস থেকে সাদা রঙের বেনারসী উপহার দিয়েছে, সেটা খুব সুন্দর, সেটা আমার ইচ্ছা আছে ষষ্ঠীর দিন পরার। অষ্টমীর দিন আমার মেয়ে আমার জন্য একটা শাড়ি পছন্দ করেছে সেই শাড়িটা পরব। এবার একটা নতুন ধরনের শাড়ি উঠেছে, সোনালি ও রূপোলি জড়ির সমাহারের শাড়ি, তো সেটা খুব সুন্দর দেখতে, সেই শাড়ি একদিন পরব। আমি তসর খুব ভালোবাসি, সেই তসরের ওপর মধুবনীর কাজ করা একটা শাড়ি এবার পরার ইচ্ছা আছে। তবে এই বছর শাড়ির পাশাপাশি আমার ব্লাউজে থাকবে নতুনত্ব। যেহেতু আমি পুজোর এক-একটা বেলায় এক এক ধরনের সাজ রাখি, তো একটা বেলায় ব্লাউজে মাতৃমুখ থাকবে। শোভনের গরদের প্রত্যেকটা পাঞ্জাবীতে আমি নিজে ডিজাইন দিয়েছি। এ বছর পুজোয় আমি এমব্রয়ডারি নিয়ে খেলেছি সেটা বেশ ভালো লাগছ। এ বছর মেয়েকে আর আমার শাড়ি পরতে দেব না, ওর নিজের স্টক তৈরি হোক। তাই মেয়েকেও শাড়ি কিনে দিয়েছি। সঙ্গে লহেঙ্গা চোলি, ড্রেসও রয়েছে।'
আরও পড়ুন- ‘মহুলের জীবনেও যেন একটা শোভন আসে’, মেয়ের সহবাসে আপত্তি করবেন না বৈশাখী
শোভন কী উপহার দিলেন?
'নতুন করে আর কি শাড়ি বাছতে যাব। শোভন তো আমায় একটা নতুন জীবন উপহার দিয়েছে। আমার পুজোর বাজার হয় না, সারাবছর যেগুলো পাই তার থেকেই সেরা শাড়িগুলো তুলে রাখি, আর সবই তো শোভনের দেওয়া তাই আলাদা করে কোনটা বলব। যেটা নিয়ম করে করি সেটা যেটা নিয়ম করে করি সেটা হল ষষ্ঠী বা অষ্টমীতে মায়ের দেওয়া শাড়ি পরি আর বাকি দিনগুলোতে শোভনের দেওয়া বা প্রিয় বান্ধবীদের দেওয়া শাড়ি পরি। তবে ইচ্ছে রয়েছে মাইসোর থেকে শোভনের পছন্দ করা একটা শাড়ি কিনেছিলাম, সেই শাড়িটা নবমীর দিন পরব। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় শাড়ি।'
আরও পড়ুন- স্যান্ডউইচ শোভন! ‘বান্ধবী’ বৈশাখীর সঙ্গে সুখের সংসারে কে ছড়ি ঘোড়াচ্ছেন?