What Is Difference Between EMU And MEMU Trains: কলকাতা ও হাওড়ার শহর ও শহরতলীর বাসিন্দরা EMU লোকাল ট্রেনগুলিতে চড়েননি, এরকম খুব কম-ই আছেন। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এই যাতায়াত মাধ্যম। EMU ট্রেনগুলি শহরতলির অংশগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধাকে ত্বরান্বিত করে। দ্রুতগতির ত্বরণ , চওড়া কোচ , চওড়া দরজা-জানালা ফলে ভালোভাবে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা এবং কোচের অভ্যন্তরে হাই স্পিড ফ্যান গুলি যাত্রীস্বাচ্ছন্দের সহায়ক।
হাওড়া-শেওড়াফুলি শাখায় ১৯৫৭ সালে প্রথম EMU ট্রেন চলাচল শুরু হয়। EMU ট্রেনে অনেকগুলি করে ইউনিট থাকে। প্রত্যেকটি ইউনিটে থাকে দু'টি ট্রেইলার কোচ এবং একটি মোটর কোচ EMU ট্রেনে কোচের সংখ্যা সচরাচর তিনের গুণিত হয়ে থাকে। পূর্ব রেলের বিভিন্ন শাখায় বর্তমানে ৯ বা ১২ কোচের EMU ট্রেনের চলাচল করে। এর প্রত্যেকটি ট্রেইলার কোচে ১১৩ জন যাত্রী বসতে পারেন, আর মোটর কোচে বসতে পারেন ৯৮ জন যাত্রী। এছাড়া EMU ট্রেনগুলিতে স্থানীয় পণ্যের সহজে বাজারজাত করার জন্য ভেন্ডার কোচও যুক্ত থাকে। প্রতি ভেন্ডার কোচে ৮৬ জন যাত্রী বসতে পারেন।
২৫ কেভি এসি ট্র্যাকশন এবং কনভার্টারের সাহায্যে এই EMU ট্রেনের ডিসি মোটরগুলিকে চালানো হয়। পূর্ব রেল বিভাগে কলকাতা, হাওড়ার শহর এবং শহরতলীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখতে রোজ প্রায় ১,২৭২টি EMU লোকাল চলাচল করে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে চলে ৩৮৬টি লোকাল ট্রেন এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে ৮৮৬টি লোকাল।
ছাড়াও প্রায় একইরকম দেখতে MEMU বা Mainline EMU ট্রেন চলাচল করে। এই MEMU ট্রেন গুলি সচরাচর শহরতলীর বাইরের অঞ্চলে স্বল্প এবং মাঝারি দূরত্বের ট্রেন হিসেবে চালানো হয়। EMU ট্রেন এর মতোই MEMU ট্রেনগুলিরও আলাদা কোনও ইঞ্জিন থাকে না। মোটর কোচগুলি এখানে ইঞ্জিনের কাজ করে। যদিও MEMU ট্রেনের দৈর্ঘ্য সাধারণত EMU ট্রেনের তুলনায় বেশি হয়। কারণ MEMU ট্রেনগুলিতে কোচের সংখ্যা সচরাচর EMU ট্রেনগুলির তুলনায় বেশি হয়। বর্তমানে পূর্ব রেলে মোট ১৪১টি MEMU ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে চলে ৪৫টি, শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৩টি, আসানসোলে ৮৫টি এবং মালদা ডিভিশনে ৬টি। ১৯৯৫ সালে আসানসোল-আদ্রা বিভাগে MEMU পরিষেবা প্রথম শুরু হয়েছিল।
এছাড়াও আছে DEMU ট্রেন। তবে এগুলি চলে ডিজেল মোটরে। পূর্ব রেলে এখন মোট ৫০টি DEMU পরিষেবা রয়েছে। এরমধ্যে ১১টি হাওড়া ডিভিশন, ৩৯টি মালদা ডিভিশনে চলে।
এই EMU, MEMU, DEMU ট্রেনগুলি পূর্ব রেলের আওতায় স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে কম খরচে যাতায়াতের জন্য সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সমাদৃত। সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকায় লোকাল ট্রেনে চড়ে যতটা দূরত্বে যাওয়া যেতে পারে, তা অকল্পনীয়। এর পরিবর্তে যেকোনও স্থলপরিবহণের মাধ্যমে সমদূরুত্বে যাতায়াত করতে ২০ টাকা দিতে হতে পারে। বাংলার আর্থ সামাজিক উন্নতিতে পূর্ব রেল এই সাবার্বান ট্রেনগুলির পরিচালনায় অত্যন্ত তৎপর এবং গণপরিবহণের মাধ্যমের উপর সঠিক গুরুত্ব আরোপ করে যথাযতভাবে চালাতে সর্বদা সচেষ্ট।